সুপ্রভাত ডেস্ক »
মহাবিশ্বের অনেক গভীর জায়গা থেকে পৃথিবীতে পৌঁছেছে ক্ষমতাধর এক শক্তিচ্ছটা -এমনই উঠে এসেছে এক গবেষণায়। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দ্রুতগতির রেডিও বিস্ফোরণ পৃথিবীতে পৌঁছাতে সময় লেগেছে আটশ কোটি বছর, যা এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে সবচেয়ে দূরবর্তী জায়গা থেকে সংকেত পাওয়ার ঘটনা।
এটি এতটাই ক্ষমতাধর যে, সূর্য থেকে যে পরিমাণ শক্তি বেরোতে ৩০ বছর লাগে, এটি থেকে ওই একই পরিমাণ শক্তি বেরিয়েছে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে।
‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি)’ বলতে এমন স্বল্পমেয়াদি শক্তির বিস্ফোরণকে বোঝায়, যা মহাশূন্যের অজানা কোনো জায়গার অস্বাভাবিক তীব্র কার্যক্রম থেকে ঘটে থাকে।
এর গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন। তবে, এর সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হিসেবে বহির্জাগতিক প্রযুক্তি থেকে শুরু করে খসে পড়া নক্ষত্র সব বিষয়ই উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন আবিষ্কৃত এই বিস্ফোরণ একাধিক ছোট আকারের ছায়াপথ একত্রিত হওয়ার কারণেও ঘটতে পারে। আর এর উৎপত্তিস্থল নিয়ে প্রচলিত তত্ত্বগুলোকেও সমর্থন করে বিষয়টি।
তবে, এর তীব্রতা নিয়ে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে, এর নির্গমন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বোঝাও মানুষের পক্ষে জটিল।
‘আমরা এমন বিশাল বিস্ফোরণের শক্তির উৎস সম্পর্কে এখনও না জানতে পারলেও গবেষণাপত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে, মহাবিশ্বের নিয়মিত ঘটনাগুলোর একটি হল রেডিও বিস্ফোরণ। আর বিভিন্ন ছায়াপথে এমন কার্যক্রম শনাক্ত করতে ও মহাবিশ্বের গঠনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে এটি আমাদের সহায়তা দেবে।’ -বলেন ‘সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি’র সহকারী অধ্যাপক রায়ান শ্যানন।
ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহাবিশ্বের কয়েকটি অজানা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে এই ধরনের বিস্ফোরণ। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, এর ওজন কত। তবে, এই মুহূর্তে এমন প্রশ্নের বিশ্বাসযোগ্য ফলাফল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
‘মহাবিশ্বের স্বাভাবিক মৌলগুলো বিবেচনায় নিলে, যেসব পরমাণু দিয়ে সবকিছু তৈরি হয়েছে, সেখানে অর্ধেকের বেশিই আজকের দিনে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ -বলেন অধ্যাপক শ্যানন।