নিজস্ব প্রতিবেদক »
অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে সচেতনতামূলক নির্দেশনা অনুসরণ করতে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর বড় ও ছোট মিলে ৬৬টি মার্কেটের এ চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার স্পিনা রানী প্রামাণিক।
জানা যায়, নগরীর ১২ থানা এলাকায় ৬৬ বড় বিপণিবিতান, মার্কেট ও পাইকারি বাজার রয়েছে। এরমধ্যে কোতোয়ালী থানা এলাকায় দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, টেরি বাজার, রেয়াজউদ্দিন বাজার, হকার্স মার্কেটসহ অন্তত ১৫টি ব্যবসাকেন্দ্র রয়েছে।
২০১৯ সালে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের এক জরিপে নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার, টেরি বাজারসহ নগরীর ৪২টি বিপণিবিতান ও ব্যবসাকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সিএমপির পাঠানো নির্দেশনায় বিপণিবিতান ও মার্কেটগুলোতে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ও নিরাপত্তা প্রহরী নিযুক্ত করা, রাতে মার্কেটগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সমিতির সদস্যরা পালাক্রমে মার্কেটগুলোতে নিযুক্ত থাকা, প্রযোজ্য স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে নজরদারি রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম রাখা এবং মার্কেটগুলোতে যাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।
সিএমপি মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকার বঙ্গবাজার, নিউ সুপার মার্কেটসহ পাইকারি ব্যবসার আড়তে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিকা-ে ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। চট্টগ্রামে কিছু মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাই অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য চট্টগ্রামের মার্কেটগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’