সুপ্রভাত ডেস্ক »
মুক্তিপণের বিনিময়ে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। তবে কত টাকায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেননি মালিকপক্ষ এসআর শিপিং। এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে মুক্তিপণের পরিমাণ ৫ মিলিয়ন ডলার।
কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, আমি উদ্ধার প্রক্রিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে ওদের কনফিডিন্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। সেই অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারব না। কারণ এটা আমি সই করেছি।
রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে তিনি এসব কথা বলেন।
মেহেরুল করিম বলেন, উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আমরা আমেরিকান নিয়ম মেনেছি এবং ইউকে (যুক্তরাজ্য) ও সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি। ফাইনালি কেনিয়ার নিয়মও মেনেছি। সবার সঙ্গে আমাদের অ্যাগ্রিমেন্ট করা আছে এ বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। তবে আমি আবার বলি, আমরা সবকিছু আইন মেনে করেছি।
এদিকে উদ্ধারের পরপরই জাহাজ মুক্ত করতে দস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এবং কীভাবে এসব টাকা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে নানারকম গুঞ্জন ওঠে।
কিন্তু বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে খোদ সোমালি জলদস্যুরাই জানালেন মুক্তিপণের পরিমাণ।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলদস্যুদের একজন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, দুই রাত আগেই তাদের কাছে মুক্তিপণের টাকা পৌঁছে যায়। এরপর টাকাগুলো জাল কিনা তা পরীক্ষা করে দেখে তারা। তারপর নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে সেখান থেকে সরে যায়।
জলদস্যুরা জানায়, ৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত হয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা।
নাবিকসহ জাহাজটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে জলদস্যুরা।
তবে এ ব্যাপারে সোমালিয়ার সরকার কোনো মন্তব্য করে নি।