ডেঙ্গুতে আরও তিন নারীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবদক
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে। যা গত চার বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ১০৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া নারীরা হলেন মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট এলাকার নাসরিন আক্তার (৩৭)। তাকে ১৯ আগস্ট চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার ডেঙ্গুর নন স্ট্রাকচারাল প্রোটিন ১ (এনএস১) শনাক্ত হয়েছিলো। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া আরেক রোগী ২৪ বছর বয়সী রুমানা আক্তার। তিনি ১৭ আগস্ট চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৯ আগস্ট তিনিও মারা যান। তারও নন স্ট্রাকচারাল প্রোটিন ১ (এনএস১) পজেটিভ শনাক্ত হয়েছিল। আরেক জন হলেন ৫৯ বছর বয়সী রাজ লক্ষী শর্মা। তিনি ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুর শক সিনড্রোমে তিনি মারা যান। তিন জনের মৃত্যুতে চট্টগ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে। গত চার বছরে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে , ২০২০ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই। তবে ২০২১ সালে ৫ জন এবং ২০২২ সালে তা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। অথচ চলতি বছরে আগস্টেই মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
জ্বর হলে অবহেলা না করার কথা জানালেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ( চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুর রব। তিনি বলেন, ‘অনেকে জ্বর হলে নাপা, প্যারাসিটামলের উপর নির্ভর হয়ে পড়েন। চিকিৎসকের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্ত এখন জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু টেস্ট করতে হবে। ঘুমানোর আগে মশারি টাঙাতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার করতে হবে।’
এ দিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৭৭ জন , ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮, মে তে ৫৩, জুনে ২৮৩ জন, জুলাইয়ে ২ হাজার ৩১১ জন এবং আগস্টে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪ জন। তারমধ্যে পুরুষ ১১, নারী ১৭ এবং শিশু ১৬ জন রয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা তিন হাজার ২০০ জন এবং জেলার অন্যান্য এলাকার এক হাজার ৪১১ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৯০, নারী এক হাজার ৩১৭ এবং শিশু এক হাজার ২০৪ জন।
				

















































