নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
টেকনাফে সাগরে রোহিঙ্গাবাহী মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ থানায় মামলা করেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই হুসনে মুবারক। এ মামলায় ২৪ জনকে এজাহারভুক্তসহ ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি হলেন- টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া পাড়া এলাকার হাসান আলীর ছেলে শহিদ উল্লাহ। মামলায় মঙ্গলবার রাত থেকে ৫ অক্টোবর বুধবার দুপুর পর্যন্ত আটক ৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ ৬ জনের মধ্যে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নাগরিক রয়েছেন। তারা হলেন- উখিয়া উপজেলার বালুখালী ক্যাম্পের মো. রশিদ, একই ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. শরীফ, কক্সবাজারের মহেশখালী কুতুবজুম গ্রামের বাসিন্দা মো. সেলিম (২৪), একই এলাকার কোরবান আলী, ঈদগাঁর হাজিপাড়ার মো. আবদুল্লাহ (২০) ও টেকনাফের কাটাবনিয়া এলাকার শহীদ উল্লাহ (২৮)।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, ‘ট্রলারডুবির ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্য গত ৪ অক্টোবর ট্রলারডুবিতে উদ্ধার রোহিঙ্গাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে ক্যাম্পে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
উল্লেখ্য, ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে টেকনাফের উপকূলীয় বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত তিন রোহিঙ্গা নারী ও এক শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জীবিত অবস্থায় ৪৯ জনকে উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। উদ্ধার হওয়াদের তথ্যমতে, এই ট্রলারে ৮৫ জনের মতো ছিলেন। সেই হিসেবে এখনও ৩৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালে এপ্রিলের শেষে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া সীমান্তে পৌঁছালেও দেশটিতে প্রবেশ করতে না পেরে টেকনাফের বাহারছড়া সমুদ্র সৈকত থেকে ফিরে আসা ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছিল বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। ওই দলের সঙ্গে থাকা অন্তত ৩০ রোহিঙ্গা খাবার ও পানি সংকটে মারা যায় তখন।