দাবি চসিক মেয়রের
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের লক্ষ্যসীমা নির্ধারণ করে জনগুরুত্বপূর্ণ প্যাচওয়ার্ক কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এই সময়সীমার মূল লক্ষ্য ও বিষয়গুলোর কর্মকা- সন্তোষজনক।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর টাইগার পাস সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী ভবনে তাঁর দপ্তরে চতুর্থ সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন এ কার্যক্রমের আওতায় মশক নিধন, পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, বেহাল সড়কগুলোর সংস্কার এবং সড়ক আলোকায়নসহ চসিকের সেবামূলক পরিধিতে গতিশীলতা আনায়ন এবং আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই ও উপায় অন্বেষণ করেছি। তবে চলমান কার্যক্রম পরিচালনায় বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিধায় ক্ষেত্রবিশেষে শতভাগ সাফল্য হয়ত অর্জিত হবে না। না হওয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করা গেছে। তাই অভিজ্ঞতার আলোকে চিহ্নিতকরণ ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন সম্ভব হলে চসিকের ভবিষ্যৎ পথ চলা সুগম হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণ, সচিব খালেদ মাহমুদসহ বিভাগীয় প্রধানগণ জুম অ্যাপের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন।
তিনি নগরীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জিরো টলারেন্স থাকার ঘোষণা দিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মশক নিধনে যতটুকু সফলতা আসার কথা তা আসেনি, কারণ নগরবাসীর অসচেতনতা। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ দেয়ায় জমাট পানি মশক প্রজননের উৎসক্ষেত্র হওয়ায় এবং সংগৃহিত তরল ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে কাক্সিক্ষত ফলাফল পাওয়া যায়নি। ওই তরল ওষুধের গুণাগুণ যাচাই করার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই তাদের পরামর্শ মোতাবেক মশক নিধনের কাজ আবার শুরু করা হবে। নগরীর ভাঙা-চোড়া রাস্তা মেরামতে প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে শতভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে তিনি জানান। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আবর্জনা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা গেছে। এখন আবর্জনা পরিষ্কারের বিষয়টি দৃশ্যমান। ১০০ দিনের কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নগরীর ৩০টি রাস্তার ৭৬ কিলোমিটার অংশে পোল বসিয়ে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। ফলে বিস্তীর্ণ নগরীর অনেকটায় আলোকায়নের আওতায় আনা গেছে এবং বাকি স্থানগুলোতেও আলোকায়নের কাজ চলমান থাকবে।
তিনি কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্টান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি নামমাত্র না হয়ে বাস্তব বিবেচনায় কার্যকর হতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি কাউন্সিলরদের আন্তরিকতা প্রত্যাশা করেন। বিজ্ঞপ্তি