সুপ্রভাত ডেস্ক »
রাজবাড়ী সদরের ভবদিয়া গ্রামে গড়ে ওঠা গোল্ডেন জুট প্রোডাক্ট নামক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯ বছর ধরে পাট, হোগলা পাতা ও কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশবান্ধব পণ্য। ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিশ্বের ২৬টি দেশে এসব পণ্য রফতানি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
গোল্ডেন জুট প্রোডাক্ট থেকে প্রতি মাসে প্রায় তিন লাখ পণ্য বিদেশে রফতানি হয়। যার বাজার মূল্য দুই কোটি টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠানটিতে ছয় শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মাধ্যমে বেকারত্ব কমানো ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাট, হোগলা পাতা ও কচুরিপানা দিয়ে ভ্যানিটি ব্যাগ, ম্যাট, পাপোষ, টুপি, ফুলের টব, বাটি, ঝুড়িসহ বাহারি সব পণ্য তৈরি করছেন গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টের শ্রমিকরা। খবর ডেইলি বাংলাদেশ।
২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে গোল্ডেন জুট প্রোডাক্ট। এখানে বাসা বাড়িতে ব্যবহার্য পাট, হোগলা পাতা ও কচুরিপানা দিয়ে এক হাজার ২০০ রকমের পণ্য তৈরি করছে তারা। এসব পণ্য বিদেশি ক্রেতাদের মাধ্যমে রফতানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান, জার্মান, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসহ ২৬টি দেশে। প্রতিষ্ঠানটিতে কাজের সুযোগ পেয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক খুশি শ্রমিকেরা।
গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টের শ্রমিক সুফিয়া বেগম বলেন, আগে আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। এই ফ্যাক্টরি চালু হওয়ার পরে এখানে কাজ করে পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মেয়েদের মাদরাসায় পড়াতে পারছি। আমি ও আমার স্বামী দুই জনে মিলে কাজ করে কিছু টাকা জমাতেও পারছি।
গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আলাউদ্দিন সুজন বলেন, এখানে পাট, হোগলা পাতা, খড় ও কচুরিপানা দিয়ে বিভিন্ন রকমের পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি হচ্ছে। আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসব কাঁচামাল সংগ্রহ করি। ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানি হচ্ছে। আগামীতে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরো এগিয়ে যাবে। এ বিষয়ে রাজবাড়ী বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক চয়ন বিশ্বাস জানান, বিসিক জেলা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে এসব কারখানা পরিদর্শন করে উদ্যোক্তাদের নানাবিধ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনো উদ্যোক্তা আমাদের সহায়তা চাইলে তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।