নিজস্ব প্রতিবেদক
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় যে অবদান রেখেছে তা প্রশংসনীয়। মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতি চট্টগ্রামবাসীর আন্তরিকতা অক্ষুণœ রয়েছে। যখনই প্রয়োজন হয়েছে, নগরবাসী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে বলেন, হাসপাতাল পরিচালনা করতে হবে সস্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে। যাতে মানুষ হাসপাতালের সেবা পেয়ে উপকৃত হয় এবং সেবা নিতে বারবার এখানেই আসে।
শনিবার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট সম্প্রসারিত ইনটেনসিভ কেয়ার (আইসিইউ) ইউনিটের উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আইসিইউ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় কঠোর নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে, যাতে বাহকের মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে এখানে।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ^স্ত করেন।
মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান অলক নন্দী জানান, এখানে কম খরচে উন্নতমানের সেবা পাবেন রোগীরা। আইসিইউতে আছে ডায়ালাইসিস ও আলাদা আইসোলেশন আইসিইউ। এটি নির্মাণে খরচ হয়েছ ২০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম এ তাহের খান-এর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. অলক নন্দী বক্তৃতা করেন।
জনগণের টাকায় পরিচালিত জনগণের হাসপাতালখ্যাত চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে দেশের বেসরকারিখাতের সবচেয়ে বড় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ইউনিট চালু হয়েছে। মানুষের অনুদানের বিশ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা দেশের বেসকারিখাতের সবচেয়ে বড় এই আইসিইউতে মাত্র ৮ হাজার টাকায় অন্তত ৫০ হাজার টাকার চিকিৎসাসেবা নেয়া যাবে। ৩০ বেডের আইসিইউর পাশাপাশি করোনা বা কোনো জরুরি সময়ে আরো অন্তত ৩০ বেডের আইসিইউ সাপোর্ট দেয়ার সক্ষমতাও এ হাসপাতালের রয়েছে। ১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাত্র ১০ বেডের আউটডোর সুবিধা নিয়ে শুরু হওয়া হাসপাতালটি ইতোমধ্যে ইনডোর বেড সংখ্যা ৮৫০ টিতে উন্নীত করেছে।