নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান »
প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে বেড়েছে মাছের আনা গোনা। প্রবল বর্ষণ ও বজ্রপাত হলে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার ভর মৌসুম চলছে। প্রতি বৎসর চৈত্র মাস থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত সমযে হালদা নদীতে মা মাছ হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে।
মা মাছ ডিম ছাড়ার পর রাউজান হাটহাজারী হালদা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাস কারী জেলে ও ডিম সংগ্রহকারীরা হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নৌকা ও জাল নিয়ে নদী থেকে ডিমসংগ্রহ করে হ্যাচারী ও নদীর তীরে খনন করা মাটির কুয়ার ডিম রেখে ডিম থেকে রেনু উৎপাদন করেন। রাউজান হাটাহাজারীর ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা ও জাল নিয়ে প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন কবে ডিম ছাড়বে। নদীর তীরে মাটি খনন করে মাটির কুয়া তৈরি করছে ডিম সংগ্রহকারীরা।
হালদা নদীর রাউজান অংশের পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা পশ্চিম গহিরা বড়–য়া পাড়া, দক্ষিন গহিরা, সোনাইর মুখ, পশ্চিম বিনাজুরী, গোলজার পাড়া, কাসেম নগর, আজিমের ঘাট, মগদাই, পশ্চিম আবুরখীল, নাপিতের ঘাট, খলিফার ঘোনা, উরকিরচর, মাইশকরম, সার্কদা, মোকামী পাড়া, কচুখাইন, হাটহাজারীর গড়দুয়ারা, নয়াহাট, আমতোয়া, মাছুয়া ঘোনা, বাড়ীঘোনা, মাদ্রাসা, দক্ষিণ মাদ্রাসা এরাকায় নদীর তীরে মাটির কুয়া তৈরি করে রেখেছে ডিম সংগ্রহকারীরা। প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের যে কোনো পূর্ণিমা ও অমাবস্যার কয়েকদিন আগে-পরে জোয়ার ও ভাটার সময় কার্প জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালি বাউস) মা মাছ হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে। ভারি বর্ষণ ও বজ্রপাত হলে নদীতে পাহাড়ি ঢলের ¯্রােতের পানি নেমে আসলে মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়ে। আগামী পূর্ণিমার জো’তে ভারী বর্ষণ হলে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে বলে আশা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
এদিকে হালদা নদীর মা মাছের প্রজনন রক্ষায় হালদা নদীতে যান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। গড়দুয়ারা এলাকার ডিম সংগ্রহকারী আালী আহম্মদ বলেন, হালদা নদীতে মা মাছের আনা গোনা বেড়েছে। ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাত হলে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। ডিম ফুটানোর জন্য নদীর তীরে মাটির কুয়া খনন করে রেখেছি।
রাউজান উপজেলা মৎস সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল্ল্রাহ আল মামুন বলেন, হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। হাটহাজারী তিনটি হ্যাচারিসহ রাউজানের গহিরা মোবারক খীল হ্যচারি সচল রয়েছে। রাউজানের পশ্চিম গহিরা ও কাগতিয়ায় অকোজা হয়ে পড়ে থাকা দুটি হ্যচারি পুনঃনির্মাণের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
হালদা গবেষক চট্টগ্রাম ক্যন্টেনমেন্ট পাবলিক কলেজের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি প্রজনন মৌসুমে নদীর পরিবেশের স্থিতিশীলতা ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকলে হালদায় কার্পজাতীয় অর্থাৎ রুই, কাতলা, মৃগেল, কালি বাউস মা মাছের ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।