সুপ্রভাত বাংলাদেশ : ঢাকায় গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে রুট ফ্র্যাঞ্চাইজ (বাসরুট রেশনালাইজেশন) চালু হয়েছে। চট্টগ্রামে কি তা চালু করা যায়?
রেজাউল করিম চৌধুরী : ঢাকা ও চট্টগ্রাম এক নয়। চট্টগ্রামে মাত্র একটি প্রধান সড়ক (বহদ্দারহাট থেকে পতেঙ্গা) রয়েছে। সম্প্রতি আমরা আরেকটি সড়ক (আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও পোর্ট কানেকটিং রোড) সম্প্রসারণ করেছি। কেবল দুইটি সড়কের এই শহরে রুট ফ্র্যাঞ্চাইজ সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। একই কারণে পুরানো ঢাকায় গণপরিবহন ব্যবস্থা সচল করা সম্ভব হয়নি।
সুপ্রভাত : তাহলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কীভাবে ফিরবে?
রেজাউল করিম : এজন্য ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আধুনিক ও ডিজিটালাইজ করতে হবে। হাতের ইশারায় ট্রাফিক কন্ট্রোল বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে চট্টগ্রামের কিছু রোডে ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। তবেই গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আসবে ।
সুপ্রভাত : ট্রাফিক সিগন্যালে ডিজিটালাইজেশন কাজটি সিটি কর্পোরেশনের। সিটি কর্পোরেশন তা করছে না কেন?
রেজাউল করিম : সিটি কর্পোরেশনেরই করার কথা ছিল। তবে, এতোদিন তা হয়নি। এখন আমরা প্রাথমিকভাবে নগরীর দুটি মোড়ে কাজীর দেউড়ি ও নিউমার্কেটে ডিজিটালাইজড ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছি। সেখানে সফল হলে বাকি মোড়গুলোতেও পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
সুপ্রভাত: চট্টগ্রামের গণপরিবহন ও যানজট সমস্যার অন্যতম কারণ হলো স্কুলকেন্দ্রিক ব্যক্তিগত গাড়ি। এক্ষেত্রে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য কি বাস সার্ভিস চালু করা যায়?
রেজাউল করিম : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য বিআরটিসির ১০টি বাস দিয়েছেন। তা দিয়ে শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে। এতে যানজটে কিছুটা হলেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে যদি আরো বাস পাওয়া যায় কিংবা স্কুলগুলো নিজ উদ্যোগে যদি বাস সার্ভিস চালু করে তাহলে গণপরিবহনে সুফল মিলবে। একইসাথে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিও এধরনের স্কুলবাস চালু করতে এগিয়ে আসতে পারে।
সুপ্রভাত : গণপরিবহনে আরেকটি প্রধান সমস্যা হলো ফুটপাত বেদখলে থাকা। এই ফুটপাত সমস্যার সমাধান কীভাবে করবেন?
রেজাউল করিম : এটি ঠিক, ফুটপাত খালি না থাকলে মানুষ স্বচ্ছন্দে হাঁটতে পারে না। মানুষ তখন রাস্তা দিয়ে হাঁটে এবং এতে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা নগরীর ফুটপাতগুলোকে মুক্ত করতে স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করেছি। এই ফোর্স নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কাজ করছে। উচ্ছেদের পর আবার দখল করলে আবারো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যতোবার বসবে ততোবারই উচ্ছেদ করা হবে। আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে বদ্ধ পরিকর।