সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
বল হাতে নিতেই যা একটু সময় লাগল। বোলিং শুরুর পর উইকেটের দেখা দ্রুতই পেয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান। অপেক্ষার অবসানও হলো তাতেই। স্বীকৃত ক্রিকেটে ১ হাজার উইকেট পূর্ণ হলো বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে গতকাল রোববার কুসল মেন্ডিসের উইকেট নিয়ে এই মাইলফলকে পা রাখেন সাকিব। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। ৯৯৯ উইকেট নিয়ে এই ম্যাচ শুরু করেছিলেন সাকিব। এ দিন বোলিং আক্রমণে আসেন তিনি ১৬ ওভার শেষে। প্রথম ওভারেই অল্পের জন্য ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি। তবে খুব বেশি সময় অপেক্ষাও করতে হয়নি। পরের ওভারেই তার বলে পয়েন্টে ধরা পড়েন মেন্ডিস।
এই ১ হাজার উইকেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট তার টি-টোয়েন্টিতে, ৩৬২টি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে উইকেটে হলো ৩২৮টি, আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩১০টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে তার উইকেট ৫৬৯টি। বাকি ৪৩১টি ঘরোয়া ক্রিকেট ও অন্যান্য স্বীকৃত ক্রিকেটে। বাংলাদেশের হয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড আব্দুর রাজ্জাকের। কিছুদিন আগে ক্রিকেট থেকে অবসরে গিয়ে জাতীয় নির্বাচকের দায়িত্ব নেওয়া এই বাঁহাতি স্পিনারের উইকেট ১ হাজার ১৪৫টি। রাজ্জাক ও সাকিবের পর তালিকায় আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি, মোট উইকেট ৭০৯টি। বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের উইকেট ৭০২টি। তবে তিন সংস্করণেই আলাদাভাবে তিনশ উইকেট আছে বাংলাদেশে শুধু সাকিবের। খবর বিডিনিউজের।