নির্বাচন অফিস
প্রত্যাশীদের চাপে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য
মোহাম্মদ কাইয়ুম >
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। গত মার্চ মাসে ওয়ার্ডভিত্তিক জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) বিতরণের সময় অবহেলায় সংগ্রহ করেনি। পরবর্তীতে স্মার্টকার্ড সংগ্রহে কয়েকবার নির্বাচন অফিসে আসলেও লকডাউনের কারণে সংগ্রহ করতে পারেননি। সর্বশেষ পাঁচ বারের চেষ্টায় রোববার স্মাটকার্ড সংগ্রহ করেন। প্রথম দিকে স্মার্টকার্ড সংগ্রহে গুরুত্ব না দিলেও পরবর্তীতে গুরত্ব বুঝে মোহাম্মদ জসিমের মতো অনেকেই ছুটছে নির্বাচন অফিসে। এ রকম প্রতিদিনই হাজারো মানুষ এনআইডি (স্মার্ট কার্ড) সংগ্রহে ভিড় করছে নির্বাচন অফিসে।
রোববার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ঘুরে দেখা যায়, স্মাট কার্ড সংগ্রহে থানাভিত্তিক নির্বাচন অফিসের সামনে ভিড় করছে সেবা প্রত্যাশীরা। গত মার্চ মাসে ওয়ার্ডভিত্তিক এনআইডি (স্মার্ট কার্ড) বিতরণের সময়ে অবহেলাসহ নানা কারণে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে না পারায় এখন বার বার নির্বাচন অফিসে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের ইউনিক স্টুডেন্ট আইডি নিবন্ধন, করোনার ভ্যাকসিন নিবন্ধনসহ বিভিন্ন অনলাইন সেবা গ্রহণে জরুরি ভিত্তিতে স্মার্টকার্ডের প্রয়োজন হওয়ায় প্রতিদিনই স্মার্টকার্ড সংগ্রতে নির্বাচন অফিসে ভিড় করছে। যথাসময়ে স্মার্টকার্ড সংগ্রহ না করায় এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউনে অফিসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্মার্টকার্ড নিতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে সবাই। তবে গত ২৪ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত খুলে দেওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই নির্বাচন অফিসে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। ফলে সেবা প্রত্যাশীদের চাপ ও ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব না মানার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করতে দেখা গেছে।
এনআইডি (স্মার্টকার্ড) নিতে আসা মো. আহাদুল ইসলাম সাকিব বলেন, ওয়ার্ডভিত্তিক স্মার্টকার্ড বিতরণের সময় চট্টগ্রামে না থাকায় স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারিনি। পরবর্তীতে স্মার্টকার্ডের প্রয়োজন হলেও রমজানের আগে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করলে ঈদের পরে আসতে বলে। ঈদের পরে কয়েকবার আসলেও এখনো স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করতে পারিনি।’
ওয়ার্ডভিত্তিক স্মার্টকার্ড বিতরণের সময় সংগ্রহ না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন স্মার্টকার্ডের গুরুত্ব বুঝিনি। এখন বুঝতে পেরে নির্বাচন অফিসে আসলেও লকডাউনের অজুহাতে আজ না হয় কাল আসতে বলা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ কামরুল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম চলছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে বিদেশগামী প্রবাসী এবং ভ্যাকসিন নিতে যাদের সমস্যা হচ্ছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে যাদের জরুরি ভিত্তিতে স্মার্টকার্ড প্রয়োজন তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে স্মার্টকার্ড দেওয়া হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্মার্টকার্ডসহ সব ধরনের সেবা দেওয়া হবে জানিয়ে মোহাম্মদ কামরুল আলম জানান, এখন সবাইকে স্মার্টকার্ড বিতরণ করলে নির্বাচন অফিসে সেবা প্রত্যাশীদের ভিড় আরো বাড়বে। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি ঝুঁকিতে পরার সম্ভাবনায় সীমিত পরিসরে স্মার্টকার্ড বিতরণসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছি।