সুপ্রভাত ডেস্ক »
স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে শেখ হাসিনা তার ‘জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত’ রয়েছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ড. অনুপম সেন বলেছেন, দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তার মতই সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নতির জন্য দুটি জিনিস বেশি প্রয়োজন। একটি হল বিদ্যুৎ বা জ্বালানি; আরেকটি কৃষি। এই দুই ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ‘দৃষ্টান্ত স্থাপন’ করেছেন।
‘বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে এক বিস্ময়। বাংলাদেশ আজ অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, আমাদের যদি খাদ্য থাকে, আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। সত্যিই তাই।
একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতই দৃঢ়তা নিয়ে শেখ হাসিনাও এগিয়ে যাচ্ছেন। তার বাবা যেমন বারবার জীবন মৃত্যুকে তুচ্ছ করে এগিয়ে গেছেন, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যাও দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
‘পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি এই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে রাজি আছেন। উনার মতই আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও এদেশের স্বাধীনতাকে, উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে ও দেশের ডিগনিটিকে এগিয়ে নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করতে হবে।’
বুধবার চট্টগ্রামে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ চলার সময় জামাল খান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র ভাঙচুরের প্রতিবাদে এদিনের সমাবেশ হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
‘অপরাজেয় বাংলা চট্টগ্রাম মহানগর’ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় অনুপম সেন বলেন, আমরা কোনো ভয়ে ভীত নই। আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি। যেখানে কোনো শক্তি সাহস করে না আমেরিকা-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে, সেখানে তিনি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আমরা আমাদের দেশের পতাকা উড্ডীন রাখব। ‘তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শক্তি- যে পতাকা বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেছেন তাকে উড্ডীন রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে। তার কন্যার নেতৃত্ব অত্যন্ত দৃঢ়। আমাদের সবাইকে জীবন-মৃত্যু তুচ্ছ করে সে পতাকা উড্ডীন রাখতে হবে।’
অপরাজেয় বাংলা চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য সচিব যুব নেতা নুরুল আজিম রনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছিল বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান। তারেক রহমান জাতির পিতাকে নিয়ে কটূক্তি করেছিল। কদিন আগে এক বিএনপি নেতা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দেয়।
ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
‘পরশু তারা চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে। বিএনপি একটি বিদেশি রাষ্ট্রকে দিয়ে স্যাংশন দিয়েছে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের বশ্যতা আমরা মেনে নেব না।’
জামালখানের ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘ভিন্নপথে নিতে’ বিএনপি একটি প্রেস রিলিজ দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা চাইলে বিএনপি নেতাদের ঘরের একটি একটি করে ইট খুলে আনতে পারতাম। কিন্তু আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাই ন্যক্কারজনক ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
অন্যদের মধ্যে যুবলীগ নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, আকতার হোসেন সৌরভ, ডা. উজ্জ্বল কান্তি দাশ, অ্যাডভোকেট মিঠুন বিশ্বাস, আবদুল্লাহ আল তানিম, রকিবুল ইসলাম সেলিম, রেজাউল করিম রিপন, মেহেদী হাসান, ফয়সাল রফিক, আরাফাত ফয়সাল, কুতুব উদ্দিন, আমজাদ চৌধুরী, মো. আশিকুন্নবী, সৌমিত বড়ুয়া, সাইফুল ইসলাম মারুফ, জি এস আমিনুল করিম, মিজানুর রহমান মিজান, মাহমুদুল করিম, এম আর হৃদয়, শাহাজাদা চৌধুরী, মো. শাহেদ, আরিফ হোসেন, ইসমাইল হোসেন তারেক, মিজানুর রহমান রহিম, তানবীর মেহেদী মাসুদ, মায়মুন উদ্দিন মামুন, আনোয়ার পলাশ সমাবেশে বক্তব্য দেন । খবর বিডিনিউজ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জামালখান মোড়, চেরাগী পাহাড় হয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।