সুপ্রভাত ডেস্ক »
ঢাকায় আয়োজিত ‘সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’র সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন জাকিয়া বারী মম এবং কলকাতার অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ‘আগামীকাল’ চলচ্চিত্রের জন্য মম ও ‘বিক্ষোভ’র জন্য শ্রাবন্তী এই সম্মাননা পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উৎসবের শেষ দিন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এবার ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা হয়েছেন শান্ত খান এবং সেরা খলচরিত্রের অভিনেতা হয়েছেন অভিনেতা টুটুল চৌধুরী, তাকে ‘আগামীকাল’ চলচ্চিত্রে জন্য এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সভাপতিত্ব করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি ও উৎসব চেয়ারম্যান সালমা ডলি এবং উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
উৎসবে ড. মনোরঞ্জন ঘোষালকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া চরিত্রাভিনেতা হিসেবে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ও ‘আগস্ট ১৯৭৫’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা (চরিত্র) সম্মাননা দেওয়া হয় অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়কে।
পুরনো সিনেমা বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে- ‘পুড়ে যায় মন’ সিনেমার জন্য অপূর্ব রানা (কবিরুল ইসলাম রানা এবং অপূর্ব রায়) এবং ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ সিনেমার জন্য মাসুদ পথিককে।
উৎসবের সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হয়েছে মনজুরুল ইমরান পরিচালিত ‘মাই চাইল্ডহুড’। সেরা ডকুমেন্টারি সুমন দেলোয়ার পরিচালিত ‘জল গরিলা ৭১’ এবং সেরা মোবাইল ফিল্ম হয়েছে রুপান্তি দাস এবং অনিক দাস পরিচালিত ‘আফটার টেস্ট’।
এশিয়ান বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রর পুরস্কার পেয়েছে ইয়াশপাল শর্মা পরিচালিত ‘রাজা লক্ষমী’ চলচ্চিত্র। এছাড়াও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং প্রযোজক সমিতিকে স্বাধীনতার সম্মাননা জানানো হয়।
উৎসব কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদেশি অতিথিরা উৎসবে অংশগ্রহণ না করতে পারায় অন্যান্য পুরস্কারগুলো উৎসবের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে বিজয়ীদের কাছে ট্রপি ও সদন পাঠানো হবে।
অঞ্জন আইচ পরিচালিত ‘আগামীকাল’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে উৎসবটির পর্দা নামে।