সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে ১,৪৩০ টিইইউ আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে। তবে আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বাড়লেও আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ৭,৬৯২ টিইইউ রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমে গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য মতে, সেপ্টেম্বরে ১০৬৫০৫ টিইইউ পণ্যবাহী আমদানি এবং ৫৭,৭৬৯ টিইইউ পণ্যবাহী রপ্তানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।আগস্ট মাসে ১,০৫,০৭৫ টিইইউ আমদানি এবং ৬৫,৪৬১ টিইইউ রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিলো।
ব্যবসায়ী এবং বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে কখনো আমদানি বাড়লে আবার রপ্তানি কমছে। আবার রপ্তানি বাড়লেও আমদানি কমছে। যুদ্ধের কারণে বিদেশি ক্রেতারা তৈরী পোষাক নেওয়া কমিয়ে দেওয়ায় রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। খবর টিবিএস।
এদিকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৫,০১২ টিইইউ। তবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ৬,০৩৪ টিইইউ কম।
পিএসএ মেরিন বাংলাদেশের ডেপুটি কাউন্টি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ জাহির বলেন, বৈশ্বিক মন্দার কারণে বিদেশি ক্রেতারা এখন বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোষাক আমদানি তুলনামূলক কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে মূলত আমদানি-রপ্তানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ডলার সংকট কাটাতে এলসি খোলার কড়াকড়ি এখন কিছুটা শিথিল হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর প্রতি বছর প্রায় ৩০-৩২ লাখ টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে। কিন্তু আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমে যাওয়ায় চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রকাশিত লয়েড’স লিস্ট অব পোর্টসে এ বন্দরের অবস্থান ৬৪ থেকে ৬৭তম স্থানে নেমে আসে।