প্রখ্যাত সুফী-সাধক, উদার মানবতাবাদী এবং বাংলার রুমি খ্যাত চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান সৈয়দ আহমদুল হকের চিন্তা-দর্শন তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং সুফী গবেষকরা।
তারা বলেছেন, সৈয়দ আহমদুল হক কেবল আধুনিক ধর্মীয় অনুশীলনের একজন সুদক্ষ প্রবক্তাই ছিলেন না, তিনি ঠাঁই করে নিয়েছিলেন মহান বিশ^প্রেমিক হিসেবেও। তার কর্ম ভোলার নয়।
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সির্টিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসিভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শতবর্ষপূর্তি এবং সৈয়দ আহমদুল হকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সম্প্রতি নগরের জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ভারত, ইরান, তুরস্কসহ সাত দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা অংশ নেন।
পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
অনুষ্ঠান বক্তা ছিলেন কলকাতা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. অমিত দে।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ফারসিভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচক ছিলেন সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী, ট্রাস্ট্রি সাফিয়া গাজী রহমান, ভারতের নর্থ ইস্ট্রার্ন হিল ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহ নুরুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ফার্সিভাষা এবং সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম, সরকারের সাবেক সচিব মোহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী, সিআইইউর রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা, রুমি সোসাইটি চট্টগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজউদদৌলা, সৈয়দ আহমদুল হকের সন্তান খুদিস্তা মাহমুদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি