‘এই সরকার দেশকে শ্রীলংকার পরিণীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল তেলের মূল্য ৯০ ডলার কমেছে। অথচ বাংলাদেশে রাতারাতি ৫০% এর উপরে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে এই অবৈধ সরকার। এই অবৈধ সরকারের দুর্নীতির মধ্যদিয়ে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। সীমাহীন দুর্নীতির কারণে হঠাৎ করে মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। যে ডিজেলের দাম ছিল ৮০ টাকা, তার দাম এখন ১১৪ টাকা। অকটেনের দাম ছিল ৮৮ টাকা তার দাম এখন ১৩৫ টাকা। এই জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য থেকে শুরু করে সবকিছুই সর্বসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বে চলে যাবে। সাধারণ মানুষের দুর্দশার সীমা থাকবে না। অবিলম্বে এই হঠকারী সিদ্ধান্ত পরিহার করুন। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
শনিবার বিকেলে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে তৎক্ষণাৎ মিছিলোত্তর সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, সরকার দেশকে তালাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। এই সরকার বারবার তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। তার উপর আবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জনগণের উপর সবকিছু চাপিয়ে দিচ্ছে। জনগণ আজ দিশেহারা। আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, এই সরকার জনগণকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। জনগণের সব অধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের গণতন্ত্র নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। তারপরও সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাধারণ মানুষের উপর ভোলা জেলায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। গত ১৫ বছরে তারা আমাদের ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহন সেক্টরের ভাড়া বৃদ্ধিসহ সবকিছুর মূল্য ঊর্ধ্বগতি হবে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম এ আজিজ, ইয়াসিন চৌধুরীর লিটন, শাহ আলম, আব্দুল মান্নান, সদস্য গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, মনজুরুল আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মো. সেকান্দর, মো. সালাউদ্দিন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, নূর হোসেন, মাইনুদ্দিন মাইনু, আব্দুল কাদের জসিম, নগর বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন,আব্দুল হালিম মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, কৃষকদল নেতা মো. আলমগীর, কামাল পাশা নিজামী, নগর ছাত্রদল নেতা সাইফুল আলম, শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. আসলাম, সাদেকুর রহমান রিপন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, আবুল ফয়েজ, নগর যুবদল নেতা নাসিম চৌধুরী, আমানুল্লাহ আমান, মোহাম্মদ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলী মুর্তজা খান, জমির উদ্দিন নাহিদ, ছাত্রদল নেতা আসিফ চৌধুরী লিমন, তানভীর আহমেদ, সামিয়া আমিন জিসান, যুবদল নেতা মো. হাসান, আব্দুল জলিল, মোস্তাকিম মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহাম্মদ রিমন, সোনা মানিক, আবু সালে ফালায় আবিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি