‘মহামারী করোনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকার সমর্থিত কিছু স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবি এর প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। চট্টগ্রামের সর্বমহলের দাবি ছিল বিদ্যমান রেলওয়ের বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা এবং চট্টগ্রামে সরকারি উদ্যোগে নতুন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। অথচ সরকার সেই উদ্যোগ গ্রহণ না করে রেলের বিদ্যমান হাসপাতালটিকে বেসরকারি হাসপাতালের হাতে নামে মাত্র মূল্যে ছেড়ে দিয়ে জনগণের স্বাস্থ্য খাতকে আরো সংকুচিত করার পথেই হাঁটছে। তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প ও বাণিজ্যিক প্রকল্পের গ্রাসে ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম শহরে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থান, পার্ক, খেলার মাঠ ধ্বংস করা হয়েছে।’
গতকাল বুধবার দুপুরে সিআরবি এলাকায় বৃক্ষরোপণ কালে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, সিআরবি এখন লুটেরাদের খপ্পরে। শতবর্ষী বৃক্ষসমূহ এবং বৃটিশ আমলের তৈরি দালানগুলি ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে থেকে সিআরবির শোভা আরও অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্জন, কোলাহলমুক্ত, প্রাকৃতিক নৈসর্গিক এ জায়গাটিতে হাসপাতাল হলে এটি একটি বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হবে। এখানকার ছোট-বড় বৃক্ষসমূহ কাটা পড়বে, আশেপাশে মেডিক্যালের বিষাক্ত বর্জ্যরে স্তূপে তৈরি হবে, গড়ে উঠবে দোকান-পাট। যার কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হবে এবং নৈসর্গিক এলাকাটি তার সৌন্দর্য হারাবে। সকালে ও বিকালে হাটতে আসা প্রকৃতিপ্রেমী নাগরিকগণও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।
অনতিবিলম্বে সরকারের এই পরিবেশ বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাসপাতালটি সিআরবি থেকে সরিয়ে কুমিরায় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে স্থানান্তর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, সদস্য কামরুল ইসলাম, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নগর যুবদল নেতা আসাদুর রহমান টিপু, মো. মামুন, নগর ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল, কুতুব উদ্দিন কুতুব, মো. টিপু, তাসকিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এর আগে সিআরবি এলাকায় অসহায়, দুস্থ, কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। বিজ্ঞপ্তি
সিআরবি এখন লুটেরাদের খপ্পরে
বৃক্ষরোপণকালে ডা. শাহাদাত হোসেন