সুপ্রভাত ডেস্ক »
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিআরবি চট্টগ্রামের একটি নান্দনিক ও ঐতিহাসিক জায়গা, সেটি নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রাখার কারণে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পদকে ভূষিত হয়েছেন। সুতরাং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোনও কাজ হবে না।
তিনি বলেন, সিআরবিতে পরিবেশ নষ্ট হোক, গাছপালা কাটা হোক সেটি আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাই না। সরকার জনগণের বিপক্ষে কোনও কাজ করবে না। আমিও বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উপস্থাপন করবো।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি বহুমাত্রিক সমাজে বসবাস করি, এখানে বিতর্ক থাকবে-সমালোচনা থাকবে, কিন্তু এটির পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও করতে হয়। ভালো কাজের যদি প্রশংসা না হয় তাহলে যারা ভালো কাজ করে তারা কখনও উৎসাহ পাবে না। সরকারে থাকলে সবই যে খারাপ সেটি বিশেষ করে বিএনপিসহ কেউ কেউ মনে করে। তারা সরকারে থাকলে সব ভালো, আমরা সরকারে থাকলে সব খারাপ। দেশটা কি এমনি এমনিতে এগিয়ে গেল- প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গত সাড়ে ১২ বছরে মানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে তা কল্পনাতীত, আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে এই এগিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে সমাজকে উজ্জীবিত করতে পারেন, একজন সাংবাদিকের অনেক ক্ষমতা, সেই ক্ষমতা হয়তো নিজে অনুভব করে না। একজন সাংবাদিক যার মুখে ভাষা নেই তাকে ভাষা দিতে পারে। যে কথা বলতে ভুলে গেছে কিংবা ভয় পায় তার মুখে ভাষা দিতে পারে। যে স্বপ্ন দেখতেও ভুলে গেছে, স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়, তাকে স্বপ্ন দেখাতে পারে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এর আয়োজনে এবং মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজে’র সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটু, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।