সাদার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহযোগিতা

 

করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখতে শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাদার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফার সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ, রেজিস্ট্রার ড. মোজাম্মেল হক, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ। করোনাকালীন সময়ে  শিক্ষার্থীরা যেসব সুবিধা পাবেন- নতুন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ভর্তি ফি ৫০% ছাড়। যারা সাদার্নে স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ভর্তি  ফি ১০০% মওকুফ। সকল শিক্ষার্থীদেরকে এক সেমিস্টার শেষ করে পরবর্তী সেমিস্টারে মেধা অনুযায়ী ২০%-১০০% পর্যন্ত আর্থিক সহযোগিতা। মহামারী চলাকালীন কোন বিলম্ব ফি, লাইব্রেরি ফি এবং এনরোলমেন্ট ফি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফা ইউনিভার্সিটির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের একান্ত সহযোগিতা কামনা করে বলেন, সাদার্ন সব সময় শিক্ষার্থী বান্ধব এবং শিক্ষার্থীরাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে  ক্যম্পাস বন্ধ রয়েছে এবং কয়েক ধাপে তা আরও বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ক্যাম্পাস ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস চলছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পাসভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের কারণে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সুবিধামত সহজ কিস্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য  টিউশন ফি প্রদানের ব্যবস্থা রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা যথা নিয়মে ফি পরিশোধ করতে পারবে, এতে কোন ধরনের অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সবাই কমবেশি সমস্যায় পড়েছে। একদিকে পড়াশোনার ক্ষতি, অন্যদিকে আর্থিক সংকট। বিশেষ করে অনেক অভিভাবক আর্থিক সমস্যায় আছেন। তুলনামূলকভাবে এই বিশ্ববিদ্যালযয়ের ফি কম হওয়ার পরও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাদার্ন ইউনির্ভাসিটি পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ফি পরিশোধের সহজীকরণ এবং আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের সিদ্বান্ত নিয়েছে যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত না হয়। বিশ্ববিদ্যালযয়ের প্রধান আয়ের উৎস শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি নির্দেশনা মেনে শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কোনো টিউশন ফি আদায় হচ্ছে না। ফলে আর্থিক সংকটে পড়েছে প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিত্ব যেন হুমকির মুখে না পড়ে তার জন্য সকলের ইতিবাচক মনোভাব প্রত্যাশা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি