ফলোআপ : পশ্চিম বাকলিয়া #
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া কে বি আমান আলী রোডে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার উপর পড়ে থাকা খালের আবর্জনার স্তুপ অবশেষে সরেছে। এ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে এলাকার মানুষ, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
শুক্রবার (৩ জুলাই) বেলা ১২টায় সরেজমিন দেখা যায় পশ্চিম বাকলিয়া কে বি আমান আলী রোডে খালপাড় সংলগ্ন রাস্তার বিভিন্ন অংশে তুলে রাখা আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) ‘সরেনি খালের আবর্জনা’ শিরোনামে দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর শেষ পৃষ্ঠায় একটি সচিত্র ফলোআপ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে তুলে রাখা আবর্জনাগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে গত ২০ জুন দু’সপ্তাহ ধরে খালের আবর্জনা রাস্তায়’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশের এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হলেও আবর্জনাগুলো সরেনি।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্পে সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আবর্জনাগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়া আশ্বাস দেন।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় ১ মাস ধরে খালের আবর্জনাগুলো তুলে রাখা হয়েছিল চলাচলের রাস্তার উপর। ফলে প্রতিনিয়ত চলাচলে ছিল ভোগান্তি। যানজট হয়ে উঠেছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
এলাকার বাসিন্দা স্বপন মজুমদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন আবর্জনা রাস্তার উপর তুলে রাখা হয়েছিল। ফলে উৎকট দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছিল এবং মানুষ ও যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হত। বৃষ্টি হলে পানিতে ধুয়ে আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ত। আবর্জনাগুলো সরিয়ে নেওয়ায় দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হল। এখন স্বস্তি নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে সবাই চলাচল করতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্পে সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী সুপ্রভাতে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে ঠিকাদারকে আবর্জনা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়। সকালে প্রকল্পের একজন কর্মকর্তাকে তদারকির জন্য ওখানে পাঠিয়েছি এবং খোঁজ নিয়ে জানলাম সব আবর্জনাই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’