সরকার ও বিত্তবানরা বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে : ডিসি

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ফলে এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা তাৎক্ষণিকভাবে বন্যাাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, নগরীর নিম্নাঞ্চল ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকার মূল সড়কসহ আশপাশের সড়কগুলো ডুবে গিয়ে ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় কোন কোন গ্রামের ঘর-বাড়িতে হাঁটু ও কোমড় সমান পানি হয়েছে। বন্যার কারণে সাতকানিয়ার সাথে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ছিল।
তিনি বলেন, বন্যার সময় দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দেয়ার নামে ঘরে ঢুকে ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, নগরীর উত্তর পাহাড়তলীসহ বিভিন্ন এলাকায় যারা পাহাড় কেটে রাস্তা ও ঘর-বাড়ি নির্মাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টির সময় পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় দেড় হাজার পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে এনে তাদেরকে খাবার দেয়া হয়েছে। জীবনের ঝুকিঁরোধে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে যেতে মাইকিং করে সেখানকার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে সরকারি জমি ও পাহাড় উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, সরকারি রাস্তা দখল করে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় মালিমিডিয়ার মাধ্যমে বিগত মাসের খাতওয়ারি অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসিফ।
আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবীর আহম্মেদ, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব, সিএমপি’র এডিসি পঙ্কজ চক্রবর্তী, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুর হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সজন কুমার তালুকদার, রেজাউল করিম, তৌহিদুল হক চৌধুরী, ফারুক চৌধুরী, চৌধুরী মো. গালিব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন, মাহফুজা জেরীন, শাহাদাত হোসেন, মো. আতিকুল মামুন, আতাউল গণি ওসমানী, আবদুস সামাদ সিকদার, ইশতিয়াক ইমন, মো. সাইদুজ্জামান, এবিএম মশিউজ্জামান, মো. মামুনুর রশিদ, অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, হুমায়ুন কবির খোন্দকার, মাধবী বড়ুয়া, মো. ফরিদুল আলম এবং মিরসরাই পৌর মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন। বিজ্ঞপ্তি