নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দ্বীপ »
সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নে রাশেদা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে। নিহত রাশেদা বেগম ওই গ্রামের জিহাদের স্ত্রী এবং মৃত জসিম উদ্দীনের কন্যা।
এ ঘটনায় পুলিশ রাশেদার স্বামী জিহাদ (২৭)কে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে গাছুয়া ফেরিঘাট এলাকার কেওড়া বাগান থেকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করেছে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রহমতপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত জসিম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাশেদার বোন পারভীন বেগম জানান, আমার বোনের চিৎকার শুনে আমরা ঘরের দরজা খুলে দেখি আমার বোন রক্তাক্ত অবস্থায় তার রুম থেকে বারান্দার দিকে আসছিল। আমরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত সন্দ্বীপ মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সে মারা যাওয়ার আগে তার স্বামী জিহাদ তাকে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে। ঘরে আমরা একটা রক্তাক্ত ছুরি এবং জিহাদের একজোড়া জুতা ও কিছু টাকা পেয়েছি। ইতিপূর্বে জিহাদ আমার মায়ের ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও নিহতের বোন দাবি করেন।
রহমতপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ওমর শরীফ জানান, বুধবার রাতে রাশেদা বাবার বাড়িতে ছেলে সহ তার কক্ষে ঘুমিয়েছিল। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রাশেদার ঘাড়, গলা ও গালের ডান পাশে ছুরি দিয়ে তিনটি আঘাত করে খুনি। এতে ঘাড়ের রগ কেটে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, বিয়ের পর দাম্পত্য কলহের কারণে গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশেদা বাবার বাড়ি থাকতো। রাশেদাকে তার স্বামী জিহাদ মারধর করতো। বিগত আড়াই বছর তারা আলাদা বসবাস করছে। জিহাদ তাকে নিজের বাড়ি নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে। সেজন্য বেশ কয়েকবার স্থানীয় পর্যায়ে সালিশী বৈঠক হয়। কিন্তু জিহাদ তার পক্ষে বৈঠকে কোন অভিভাবক উপস্থিত করতে না পারায় তার কাছে রাশেদাকে তুলে দেওয়া হয়নি। রাশেদার আঠারো মাস বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহম্মদ খান বলেন, রাশেদা খুনের অভিযুক্ত জিহাদকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে সন্দ্বীপ থানায় নিহতের বোন বাদি হয়ে জিহাদকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।