সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বে একমাত্র বাঙালিই এমন একটি গর্বিত জাতি যারা মায়ের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো। সকল জাতিই চায় মাতৃভাষার স্বীকৃতি। তাই বিশ্বসভায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা বাঙালির একটি মহতী অর্জন।
তিনি গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপো রেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল ও কলেজ মাঠে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার এবং অধিকতর উন্নয়নের নিমিত্তে অস্থায়ীভাবে নির্মিত বিকল্প শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ দর্শনের বিকাশ ও ব্যাপ্তি ঘটে। যা পর্যায়ক্রমে স্বাধীকার আন্দোলন এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তার অভ্যূদয় ঘটে। এ কারণে শহীদ দিবস ও শহীদ মিনার আমাদের আবেগের জায়গা। এখান থেকে আমরা বার বার প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাই। তাই এটা প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পবিত্র তীর্থ কেন্দ্র। আমাদের সংস্কৃতি চর্চার বিকাশের সাথেও এর নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে।
মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে নবতরঙ্গের সূচনা করেছেন তাতে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ভাষার মাসে তা রুখে দাঁড়াতে বাঙালিকে আরো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার শক্তি অর্জন করতে হবে।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একুশ পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। আরো বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী ও প্রকল্প পরিচালক উপসচিব লুৎফুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, চট্টগ্রামে যে সাংস্কৃতিক বলয় হচ্ছে তার প্রধান অনুষঙ্গ শহীদ মিনার। এই শহীদ মিনারের সংস্কার ও অধিকতর উন্নয়নের নিমিত্তে শহীদ মিনার আপাতত স্থানান্তরিত হলেও অচিরেই তা মূল স্থানে ফিরবে। তবে এই অস্থায়ী শহীদ মিনারটিও বহাল থাকবে। বিজ্ঞপ্তি