শেখ হাসিনা অনেক পরাশক্তির গাত্রদাহের কারণ: নওফেল

সুপ্রভাত ডেস্ক »

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে, তিনি অনেক পরাশক্তির গাত্রদাহের কারণ হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে যে পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, তাতে তিনি অনেক বিশ্ব পরাশক্তির গাত্রদাহের কারণ হয়ে গেছেন। সেই বিদেশি পরাশক্তি আমাদের সুশঙ্খল বাহিনীকে টার্গেট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা টাকাপয়সা খরচ করে বিদেশি শক্তির মধ্যে ঢুকে সেখানকার সরকারের ভেতরের অতি উৎসাহী লোকজনকে দিয়ে এ ধরনের কর্মকা- চালাচ্ছে।’ খবর সারাবাংলা’র।

বিদেশি রাষ্ট্রে টাকাপয়সা ও দিয়ে অনেককিছু করা যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়ে, লবিং করে আমাদের পুলিশ-সেনাবাহিনী, এমনকি আমাদের বিচারঙ্গনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মনগড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সংবিধান সংশোধন করে বিচারের পথ রুদ্ধ করে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ কথা বলল না, প্রাতিষ্ঠানিক কোনো উচ্চবাচ্য করল না। কিন্তু এখন আমাদের নির্বাচনকে মাথায় রেখে হস্তক্ষেপকামী কিছু ব্যক্তি হীন স্বার্থে আক্রমণাত্মক কর্মকা- শুরু করেছে।’

টাকাপয়সা খরচ করে, লবি দিয়ে বুঝিয়ে আরেকটি পঁচাত্তরের পনের আগস্টের পরিস্থিতি ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই আগস্ট মাস এলেই তাদের নানা ধরনের তৎপরতা দেখা যায়। ২০১৮ সালের আগস্টে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নামে শিশু-কিশোরদের রাস্তায় নামিয়ে হত্যা-রক্তপাতের গুজব ছড়ানো হয়েছিল।’

বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে এ সরকারের সঙ্গেই আলোচনায় বসতে হবে। তারেক রহমান খুব ভালোভাবে জানেন, নির্বাচনে বিএনপি জিতলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কারণ তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি, রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করলে তখন হয়তো পারবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তো তাদের দলীয় রাষ্ট্রপতি নন আর রাষ্ট্রপতির মেয়াদও আছে। সুতরাং নির্বাচন হলে তার কোনো লাভ নেই, বরং লন্ডনে বসে রাজনীতির নামে যে চাঁদাবাজি করছেন, সেটা হারাবেন। তাই তিনি চান না যে বিএনপি নির্বাচনে যাক।’

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সমাজবিজ্ঞনী ড. অনুপম সেন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার সরওয়ার কামাল দুলু, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বক্তব্য রাখেন।