সুপ্রভাত ডেস্ক »
ডলারের ঊর্ধ্বগতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বেশকিছু পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সই করা প্রজ্ঞাপনে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূন্য বা ৩ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ২০২১ সালের একটি প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পরে দুপুরে ওই প্রজ্ঞাপনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ১৩৫ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূন্য বা ৩ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
এনবিআর জানিয়েছে, করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্গঠন, বিলাসবহুল পণ্যের ওপরে নির্ভরশীলতা ও আমদানি হ্রাসকরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিদেশি ফল, বিদেশি ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকস জাতীয় প্রায় ১৩৫টি পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে শূন্য ও ৩ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
যেসব পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে
শুকনা ও তাজা কিংবা হিমায়িত আপেল, নাসপাতি, আঙুর, কলা, আনারস, পেয়ারা, আম, তরমুজ, পেঁপে, বাদাম, কমলালেবু ও লেবুজাতীয় ফল, আলুবোখারা ইত্যাদি। এছাড়া প্রসাধন সামগ্রীর মধ্যে আছে সুগন্ধি (পারফিউম), সৌন্দর্য বর্ধনের নানা উপাদান (যেমন সানস্ক্রিন, সান টান ইত্যাদি), হাত-পায়ের নখ কাটার প্রসাধনী, চুলের যত্ন নেওয়ার প্রসাধনী, দাঁতের যত্ন নেওয়ার পেস্ট ও পাউডার এবং সেভ করার প্রসাধনী। অপরদিকে বেড রুম, রান্নাঘর ও অফিসের জন্য লোহা, কাঠ বা প্লাস্টিকের যেকোনও ধরনের আসবাব আমদানিতেও এখন থেকে বাড়তি নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক দিতে হবে। এছাড়া যেকোনও তাজা ফুল ও ফুলের গাছ আমদানিতেও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়তি নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসলো। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
এনবিআর বলছে, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত আসবাব ও প্রসাধনসামগ্রী যথেষ্ট মানসম্মত এবং দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম। বাংলাদেশ এখন ফল ও ফুল চাষেও যথেষ্ট সমৃদ্ধিশালী। এসব পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসানোর ফলে বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশি শিল্পের বিকাশ ঘটবে।