সুপ্রভাত ডেস্ক »
মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, লাউ, বেগুন ও টমেটোসহ নানা শীতকালীন সবজিতে ভরপুর চট্টগ্রামের বাজার। ভ্যানগাড়িতে হরেক রকম সবজির পসরা সাজিয়ে নগরের অলি-গলিতে ভ্রাম্যমাল বাজার বসিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২২ ডিসেস্বর) এ বাজার জমে উঠে জুমার নামাজের শেষে। নামাজ শেষ হওয়ার আগেই মসজিদের সামনে সারি সারি বাজার বসে যায়। সবজি থেকে শুরু করে মাছ পর্যন্ত থাকে ভ্রাম্যমাণ বাজারে। খবর বাংলানিউজ।
চট্টগ্রামের আশপাশের এলাকায় সবজির উৎপাদন এবং সরবরাহ বেশি থাকায় সকল প্রকার সবজির মূল্য সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বলে জানান ক্রেতারা। নগরের কয়েকটি বাজার সরজমিনে ঘুরে এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের সবজির সরবরাহ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে নতুন আলু ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৭৫ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, তিত করলা ৯০-১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেশি টমেটো ৮০-৯০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গাজর ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লালশাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতা রহমতুল্লাহ বলেন, এলাকায় সবজি উৎপাদন ও সরবরাহ বেশি। যে কারণে প্রতিদিন সবজির দাম হ্রাস পাচ্ছে। সরবরাহ ও আমদানি কমে গেলে সবজির বাজারদর বাড়তে পারে। এখন সবজির মূল্য সবার নাগালের মধ্যে রয়েছে। বহদ্দারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা আহম্মদ মূসা বলেন, সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই কমতির দিকে। সব শ্রেণির মানুষই এখন শীতকালীন সবজি কিনে খেতে পারছেন। বাজারে আসা ক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, এখন শীতের সবজির মূল্য নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের মধ্যে রয়েছে। আমরা চাই পুরো শীতকাল জুড়েই শীতের সবজির মূল্য এমন থাকুক।