বিভাগীয় অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় বক্তারা
নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কীয় বিভাগীয় অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন লয়েল রোডস্থ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনএইচপি অ্যান্ড আইএমসিআই প্রোগ্রাম কর্মশালার আয়োজন করেন। সেভ দ্য চিলড্রেন এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত ইউএসএইড’স মা-মনি এমএনসিএসপি চট্টগ্রাম বিভাগের ৬টি জেলায় মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে ওতপ্রোতভাবে কাজ করছে।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহ্রিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও মেডিক্যাল অফিসার (সমন্বয়) ডা. উর্মি ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (এমএনসি এন্ড এএইচ) ডা. মো. শামসুল হক। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউনেটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ ও চমেক হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জাফর উল্লাহ। নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কীয় জেলা ভিত্তিক সূচকগুলো তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিপিএম (এনএনএইচপি এন্ড আইএমসিআই) ডা. সাবিনা আশ্রাফি ও ডিপিএম (এনএনএইচপি এন্ড আইএমসিআই) ডা. হুসাম মো. শাহ আলম। কর্মশালায় অংশ নেন নবজাতক স্বাস্থ্য সেলের ম্যানেজার ডা. এহতেশাম কবির, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি (চট্টগ্রাম), মীর মোবারক হোসেন (কুমিল্লা), অংশু প্রু মারমা (বান্দরবান), নুপুর কান্তি দাশ (খাগড়াছড়ি), সাখাওয়াত উল্লাহ (চাঁদপুর), মাসুম ইফতেখার (নোয়াখালী), বিপাস খীসা (রাঙামাটি), একরাম উল্লাহ (ব্রাহ্মণবাড়য়িা), চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুল করিম, কক্সবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিক উস সালেহীন প্রমুখ। কর্মশালায় বিভিন্ন হাসপাতালের নবজাতক ও শিশুরোগ বিভাগের মেডিক্যাল অফিসারগণ অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে নবজাতকের মৃত্যুর হার বেশি। প্রতিবছর জন্মের পর এ দেশে মারা যায় প্রায় ৬২ হাজার শিশু। এসব শিশুর মৃত্যু হয় জীবনের প্রথম মাসে ও অর্ধেকই মারা যায় পৃথিবীতে আসার দিনই। অপরিণত অবস্থায় জন্ম, সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের মতো ডেলিভারি কেন্দ্রিক জটিলতা থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতিই বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ। এখানে মৃতসন্তান প্রসবের হারও উদ্বেগজনক। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে। জনবল কম থাকা সত্ত্বেও দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নবজাতকের মৃত্যুরোধ ও শিশু স্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার-নার্সরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিজ্ঞপ্তি