ভেদাভেদ হানাহানি নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠাই সকল ধর্মের উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল নগরীর চট্টগ্রাম মৈত্রী বন বিহারে অনুষ্ঠিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এ দেশ মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের। সকলে এ দেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে, সকলে তাদের নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করবে এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর চাওয়া। তিনি এ দেশের সকলের অধিকারের জন্য, স্বাধীনতার জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তার নেতৃত্বে সকলে একই জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে পাকিস্তানী হানাদারমুক্ত করেছি। অনেক গ্রামে একই উঠানে মুসলমান ও বৌদ্ধ, বৌদ্ধ ও হিন্দু, আবার মুসলমান ও বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্টানরা বসে গল্প করে, তাদের সন্তানেরা একসাথে হেসে খেলে বেড়ে ওঠে। হাজার বছর ধরে আমরা এভাবে সম্প্রীতির সাথে এদেশে বসবাস করে আসছি। কিন্তু কিছু দুষ্টু লোক তখন থেকেই নিজেদের হীন স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেয়েছে। এসব ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী গোষ্ঠী সুযোগ পেলে তাদের হীন নখ দন্ত প্রকট করে বেরিয়ে আসতে চায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এসব মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত অবস্থান নিয়ে তাদের দমন করেছে। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকলে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কখনোই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেবেন না।
ধর্ম দেশনা করেন মৈত্রী বন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বিশুদ্ধনন্দ মহাস্থবির, ড. জিনবোধি ভান্তে, বিদু ভান্তে।
মৈত্রী বন বিহারের সভাপতি কল্যাণ মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে ও ড. আনন্দ বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মিথুন বড়–য়া, রিপন চাকমা, উদয়ন চাকমা, রানী চাকমা, ধীমান চাকমা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি