নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নিয়ে বলেছেন, ‘রাঙ্গুনিয়া একটি শান্তির জনপদ। এখানে কেউ কখনও অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি। কেউ অপচেষ্টা চালালেও সঙ্গে সঙ্গে দমন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে, অশান্তির অপচেষ্টা সবাই মিলে প্রতিহত করবো।’
শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায় মিলেমিশে একাকার। সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলিত রক্তের স্রোতে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় শান্তি-সম্প্রীতি যাতে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন। আপনারা বুক ফুলিয়ে হাঁটবেন। এই দেশ আপনাদের, এই মাটি আপনাদের। কেউ শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালালে আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি পরিবার রাঙ্গুনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শাসন করে আসছিল। তারা নির্বাচন আসলে সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালাতো। তাদের অনুসারীরা, তাদের প্রেতাত্মারা এখনো রাঙ্গুনিয়ায় আছে, নির্বাচন আসলে সরব হয়। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
নির্বাচন উপলক্ষে মন্ত্রী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, আমি আপনাদের কাছে এইটুকু নিবেদন করবো যে, গত ১৫ বছরে অমানুষিক কষ্ট করে এলাকায় সময় দিয়েছি। ১৫ বছর আগের কথা মনে করে এলাকায় কি পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, সেই কথাটি দয়া করে সাধারণ মানুষকে মনে করিয়ে দেবেন।’
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট পঙ্কজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুপায়ন সুশীলের সঞ্চালনায় উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার সম্মানিত অতিথি, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ উদ্বোধনী বক্তা, সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন প্রধান বক্তা, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আ.লীগের সদস্য আকতার হোসেন খাঁন এবং জেলা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও এর ইউনিয়ন পূজা পরিষদ নেতৃবৃন্দ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন। পদুয়া শ্রী গুরু আশ্রমের অধ্যক্ষ প্রসিদ্ধানন্দ সরস্বতী মহারাজ মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও চন্ডীপাঠ করেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে শৈবাল চক্রবর্তী ও সুপায়ন সুশীলকে পুণরায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।