আজহার মাহমুদ :
বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হুমায়ূন আহমেদ। একজন শব্দের জাদুকর। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুর গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। হুমায়ুন আহমেদের ডাক নাম ছিল কাজল। বাবা প্রথমে শামসুর রহমান নাম রেখেছিলেন। পরে তিনিই নাম বদলে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ।
হুমায়ূন আহমেদের সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলেই জানি। তার লেখক হয়ে ওঠা এবং জীবনের শুরু থেকে শেষ সবটুকুই হুমায়ূনপ্রেমীরা জানেন।
তিনি সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে।
তাঁর সৃষ্টি হিমু, মিসির আলী, বাকের ভাই চরিত্রগুলো কার বুকে দাগ কাটে নি? হ্যাঁ, যারা হুমায়ূন সম্পর্কে জানেন না তারা তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কেও জানবেন না, বুঝবেন না।
তিনি লেখালেখির প্রতি এতোটাই আসক্ত ছিলেন, নব্বই দশকের মাঝামাঝি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে লেখালেখিতে পুরোপুরি মনোযোগ দেন।
বাংলা সাহিত্যে এই অসামান্য অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন অনেক সম্মান এবং পুরস্কার। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি।
এছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাচ পুরস্কারসহ (১৯৮৮) অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন নন্দিত এই কথাসাহিত্যিক।
তিনি যে শুধু বাংলায় জনপ্রিয় তাও নয়। তাকে নিয়ে আলোচনা ছিলো বিশ্বের অনেক দেশে। জাপান টেলিভিশন ‘এনএইচকে’ হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে নির্মাণ করে ১৫ মিনিটের তথ্যচিত্র ‘হু ইজ হু ইন এশিয়া’। যেখানে হুমায়ূন সম্পর্কে সবকিছু তুলে ধরে টেলিভিশনটি। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মারণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হার মানতে হয় বাংলা সাহিত্যের এই মহাতারকাকে।
১৩ নভেম্বর এই নন্দিত লেখকের ৭২ তম জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি। যদি তিনি আজ বেঁচে থাকতেন তবে হয়তো তাঁর অনেক পাগল ভক্তকে দেখতে পেতেন।