সুপ্রভাত ডেস্ক »
আগামী সপ্তাহের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি সর্বশেষ দুটি ঘূর্ণিঝড় (হামুন ও মিধিলি) অপেক্ষা বেশি শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে আবহাওয়া ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
পোস্টে তিনি জানান, বিশ্বের প্রধান-প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে ভারতের আন্দামান ও নিকবার দ্বীপের আশপাশে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা নির্দেশ করছে। খবর ঢাকাপোস্ট।
সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ও ভারতীয় উপমহাদেশের ওপর সাব-ট্রপিকাল জেট স্ট্রিমের অবস্থানের প্রভাবে লঘুচাপটি নি¤œচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ২৮ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে। গভীর নি¤œচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২৯ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ডিসেম্বর মাসের ১ থেকে ২ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকার জেলাগুলো ও মিয়ানমারের রাখাই রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির ক্ষতিকর প্রভাব সর্বনি¤œ পরিমাণে নামিয়ে আনতে পূর্ব-প্রস্তুতি দরকার উল্লেখ করে তিনি কিছু পরামর্শও জানিয়েছেন।
কৃষকদের জন্য পরামর্শ
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের প্রায় সব জেলার কৃষকদের অনুরোধ করব যে জমিতে পাকা ধান থাকলে তা কেটে মাড়াই করার জন্য। শীতকালীন শাক-সবজির জমিতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেন পানি জমে শস্যের ক্ষতি না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপগামী পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা
২৮ নভেম্বরের পর থেকে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত টেকনাফ-টু-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ নভেম্বরের মধ্যে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ ত্যাগ না করলে আটকা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য পূর্বাভাস
সম্ভাবনা খুবই বেশি আগামী সপ্তাহের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাখাইন রাজ্যের উপকূলে আঘাত করার। দ্বীপের জেলেরা যেন অবশ্যই ২৮ নভেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফেরত চলে আসার প্রস্তুতি নিয়ে রাখে; কিংবা সেই হিসাব করেই সমুদ্রে যাত্রা করে যে জেলেরা এই সপ্তাহে সমুদ্রে যাত্রা করার পরিকল্পনা করেছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গোসাগরে চলতি বছর এ ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলে সেটির নাম হবে মিচাহং, তবে উচ্চারণ করতে হবে মিগজাউম। মিয়ানমার এই নাম প্রস্তাব করেছে। তবে স্থানভেদে ঘূর্ণিঝড়ের এ নাম পরিবর্তন হতে পারে।