নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
এবারের কোরবানি ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন না ঘটলেও বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার সাগর তীরে কিছুটা পর্যটকের দেখা মিলেছে। হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কিছু পর্যটকের এমনিতেই আগমন ঘটে। তবে এবারের ছুটিতে তার ব্যতিক্রম দেখা গেছে। প্রতিবার ২০/৩০ শতাংশ রুম বুকিং হলে এবার প্রায় ৪০/৪৫ শতাংশ ছুঁয়েছে। ক্ষতিটা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী ও সুগন্ধা পয়েন্টে কিছুটা পর্যটকের দেখা মিলেছে। পর্যটকদের আনন্দঘন মুহূর্ত পাড় করতে দেখা গেছে। এ দুটি পয়েন্ট ছাড়াও কক্সবাজারের হিমছড়ি ও উখিয়ার ইনানী সৈকতে কিছু পর্যটকের সমাগম ঘটেছে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ঢাকা কাওরান বাজার থেকে আসা পর্যটক দম্পতি রুমানা ও সজীব জানালেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে গাড়ি থেকে নেমে অষ্টারিকো নামক হোটেলে রুম ভাড়া নিই। রুম নিতে কোন সমস্যা হয়নি। আগের বার যখন আসছিলাম পছন্দসই হোটেল পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। বেশ কিছু হোটেল ঘুরেও মনের মত রুম পাওয়া যায়নি। এবার ভালো লাগলো। তাছাড়া সৈকত ফাঁকা পেয়ে ঘুরতে বেশ ভালো লাগছে। আমরা এমন কক্সবাজার চাই।
ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের ঈদে বন্যার প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়। যেসব জেলায় বন্যার প্রভাব পড়েছে সেখান থেকে পর্যটকরা আসেননি এবার। তারা আরও জানান, কক্সবাজারের হোটেলগুলো পর্যটক টানতে হোটেল, গেস্ট হাউসগুলো সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত রুম ভাড়ায় বিশেষ ছাড় দিচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘দেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা, অর্থনৈতিক মন্দা আর করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের ভাটা পড়েছে।’
তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে জেলা প্রশাসন। সৈকতের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে সতর্ক করা হচ্ছে। সৈকতে নামার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মাস্ক আছে কিনা চেক করছে।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সৈকতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, মাস্ক ব্যবহার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে করোনা প্রতিরোধ কমিটি।’
 
				 
		
















































