মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে রাজনীতির তীর্থস্থান। এখান থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি লড়াই করে ব্যর্থ হননি। আমরাও হবো না। আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, আমরা লড়াই করে তা পুনরুদ্ধার করবো। আমরা শান্তিপূর্ণ বিভাগীয় সমাবেশ করতে চাই।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল বিকেলে কার্যালয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শাহাদাত আরও বলেন, বিএনপি এ সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতিতে জনগণ আজকে দিশেহারা। সরকারের সিন্ডিকেটের কারণে জনগণের এই বেহাল দশা। সরকার জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা না করে জনগণের পকেট কাটার পাঁয়তারায় লিপ্ত। দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে জনগণকে বিপর্যয়ের দিকেঠেলে দিয়েছে। জনগণ এখন এই সরকারের পাশে নেই।
প্রধান বক্তা নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সারাদেশে বিএনপির জনসমাবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখে সরকার ভীত হয়ে গেছে। তাই তারা নেতাকর্মীদের হামলা মামলা করে ভয় দেখাতে চাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা সে ভয়কে আজ জয় করে ফেলেছে। তারা প্রমাণ, যত বাধায় আসুক আমাদের নেতা কর্মীরা পিছপা হয় না। আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় ঠিকে আছে। তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করছে। কারণ আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়।
সভাপতি বক্তব্যে এইচ এম রাশেদ খান বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার থাকলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। তাই ফয়সালা হবে রাজপথে।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া, এম আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, জাকির হোসেন, মোকলেছুর রহমান, নিজাম উদ্দিন বুলু, ইসহাক খান, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি