সুপ্রভাত ডেস্ক »
অর্থনীতিবিদদের চোখে এবারের বাজেটের বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জন কঠিন ঠেকলেও ‘অতীতের ধারাবাহিকতায়’ সফলতা অর্জনে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ভোট সামনে রেখে এবারের বাজেট নির্বাচনী বাজেট কিনা, সেই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি তিনি। তবে বলেছেন, বাজেটে নির্বাচনের জন্য কিছু থাকলে সব মানুষই তার ভাগ পাবে।
জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের পরদিন শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ছয়জন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা, একজন প্রতিমন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদকর্মীদের জিজ্ঞাসার জবাব দেন তিনি।
বেশিরভাগ সাংবাদিক প্রশ্ন করে অর্থমন্ত্রীর মুখ থেকে জবাব চাইলেও অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামকে দিতে বলেন অর্থমন্ত্রী। আর সরকারি কর্মকর্তারা বিষয়সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের জবাব দেন। শব্দযন্ত্রে বিভ্রাটের কারণে কিছু সময় বন্ধ রাখতে হয় সংবাদ সম্মেলন।
বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে এক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত পাঁচ বছরের বাজেটে আমাদের প্রজেকশন কী ছিল, আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, তা অ্যানেক্স (সংযুক্তি) হিসাবে দিয়েছি।
‘আমরা ফেইল করি নাই। ইনশাআল্লাহ এবারও ফেইল করব না, আগামীতেও আমরা ফেইল করব না। এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’
মানুষের কর্মদক্ষতা ও দায়বদ্ধতার উপর ভর করেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, সবকিছুর মূলে হচ্ছে এ দেশের মানুষ, জনগোষ্ঠী- তাদের কর্মদক্ষতা, দেশের প্রতি তাদের মায়ামমতা, মানুষের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা, এটা অসাধারণ এক উদাহরণ আমি মনে করি।
এবং সেজন্য আমার বড় বিশ্বাস, আপনার মত করে আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের পরাজয় নেই। ইনশাল্লাহ আমরা বিজয়ী হবই হব।
এত রাজস্ব আদায় কি সম্ভব?
৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটে এবার রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৬ শতাংশের বেশি। টাকার ওই অংক মোট বাজেটের ৫৬.৪৪ শতাংশের মত।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে এক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার যখন প্রথম দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন এনবিআর রাজস্ব ছিল ৫৯ হাজার কোটি টাকা। এখন সেটা ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। যদি ৫৯ হাজার কোটি টাকা থেকে এখন যদি তিন লক্ষ কোটি টাকাতে যায়, যেটুকু বাড়তি বলছেন, এটা আমরা অর্জন করতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমাদের প্রজেকশন যেগুলো আছে, আমরা ফুলফিল করতে পারব।
‘নির্বাচন ও বাজেট- একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটা অচল’
জাতীয় নির্বাচনের বছরে জনতুষ্টির প্রচেষ্টা বাজেটে চালানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সরাসরি জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন আর বাজেট পরস্পর সম্পর্কিত। বাজেট নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য উপকারী হতেই পারে।’
‘আমি আগেই বলেছি, আমাদের বাজেট হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য আর নির্বাচনও হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য। সুতরাং একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটা অচল। আমরা দুইটাকে সচল রাখার জন্য একদিকে বাজেটের জন্য কাজ করেছি, বাজেটের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য যদি কোনো উপকার হয়, হবে। সেটা মানুষের জন্যই হবে এবং মানুষ এটার ভাগ পাবে। আমি মনে করি যে, এভাবে আমরা চলি।একই প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকার সব বাজেটেই পববর্তী নির্বাচনের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে থাকে। এতে অন্যায় কিছু নেই।’
এটা ১৫তম বাজেট; প্রত্যেকটা বাজেটে আমরা দিয়েছি আগামীর যে নির্বাচন হবে, ১৪’র নির্বাচন, ১৮’র নির্বাচন এবং ২৩’র নির্বাচনৃ সব নির্বাচনেই একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য থাকে, সেই নির্বাচনে আমরা জিততে চাই।’
নির্বাচনে জিততে হলে এদেশের জনগণকে, সাধারণ মানুষকে, গরিব দুঃখী মানুষকে কীভাবে আমরা তাদের যে চাহিদা, তাদের যে দুঃখ-দুর্দশা এটাকে কমিয়ে তাদেরকে একটি সুন্দর জীবনের দিক নির্দেশনা কীভাবে দিতে পারি। কাজেই ২৩ সালের নির্বাচন না, সকল নির্বাচনকেই আমরা লক্ষ্য রাখি।
কাজেই বাজেটে বরাদ্দ করি যার মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষকে, জনগণকে আমরা খুশি করতে পারি। সুতরাং আমরা যদি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাজেট দিই, এতে আমি মনে করি না যে কোনো অন্যায়। সবসময় আমরা মানুষের কল্যাণমূলক চিন্তা করেই বাজেট দেই।’
২০০৮ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ‘পূরণ করেছে বলেই’ দেশের জিডিপি চার লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪৪ লাখ কোটি টাকা হয়েছে বলে দাবি করেন কৃষিমন্ত্রী।
আগের কর্মসূচিগুলো সচল রেখে প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোনো নাগরিক যাতে না খেয়ে থাকে সেজন্য কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রয়োজন অন্য খাতের বরাদ্দ স্থগিত করে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ব্যাপ্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
‘ন্যূনতম কর ‘চাপ না, গর্ব হওয়া উচিত’
করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনের বিপরীতে দুই হাজার টাকা ন্যূনতম কর আদায় নিয়ে প্রশ্নের জবাব নিজে না দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে মাইক নিতে বলেন অর্থমন্ত্রী।
এই কর গরিব মানুষের ওপর চাপ হবে কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, যাদের ক্ষেত্রে টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক, সেই শ্রেণির মানুষদের জন্য এই ন্যূনতম কর বোঝা হওয়ার কথা নয়।
রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘আমি আগে রিকোয়েস্ট করব আপনাদের, কাদের টিআইএন থাকতে হয়, টিআইএন বাধ্যতামূলক কাদের, সিই লিস্টটা যদি সামনে নেন, তাহলে সেখানে দেখবেন টিআইএন বাধ্যতামূলক আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, ট্রেড লাইসেন্সধারীর জন্য, কমিশন এজেন্সির জন্য। টিআইএন বাধ্যতামূলক পিস্তলের লাইসেন্সের জন্য। সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি, গাড়ির জন্য।
‘আপনি যেটা বললেন, সাধারণ গরিব মানুষের কোনো অসুবিধা হবে কি না, সাধারণ গরিব মানুষেরতো টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যে ক্যাটাগরিগুলো বললাম, আপনারা লিস্টে দেখবেন, এই ধরনের ক্যাটাগরিতে যে মানুষগুলো আছে, তাদের জন্য দুই হাজার টাকা বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হওয়া, এটি একটি গর্বের বিষয় হওয়ার কথা। বোঝা মনে করার কথা নয়।’
বাজেট আইএমএফের শর্ত মেনে নয়
বাজেট প্রণয়নে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের শর্তকে গুরুত্ব দিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নও ছিল অর্থমন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি তাদের শর্ত বা পরামর্শ মোতাবেক আমরা আমাদের বাজেট করি নাই।’তাদের (আইএমএফ) যে পরামর্শ আছে সেটা আমরা পুরোপুরি দেখি না। তাদের সার্বিক পরামর্শ যা আছে, যা তারা বলে, সেখান থেকে যেটুকু গ্রহণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি সেটুকু আমরা গ্রহণ করব, বাকিটা আমরা নিজেদের মত করে নেব। সেখানে তাদের কোনো আপত্তি নাই।’
আইএমএফের সঙ্গে কাজ করাকে ভালো হিসেবেই দেখছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেবল আইএমএফ না, সবাই দেখে ব্যালেন্স শিট ঠিক আছে কি না, রেভিনিউ অ্যাকাউন্ট ঠিক আছে কি না, ট্রায়াল ব্যালান্স ঠিক আছে কি না, আয়-ব্যয়ের পার্থক্য ঠিক আছে কি না।
‘শুধু আমাদেরটা না, সবারটাই দেখে, আর এই দেখাটা ভালো। আইএমএফের সঙ্গে যারা কাজ করে, আমি মনে করি এটা ভালো দিক এজন্য যে, তারা শুধু অর্থ দিয়ে মানে লোন দিয়ে সাহায্য করে না, পাশাপাশি কিছু প্রকল্পের পরামর্শ দেয়। সেগুলো কীভাবে কম সময়ে বাস্তবায়ন করা যাবে, এগুলোও তারা পরমার্শ দেয়। তাই আমি মনে করি, এসব থেকে শেখার অনেক কিছু থাকে এবং আমরা সমৃদ্ধ হই।’ খবর বিডিনিউজ।
‘প্রয়োজনে’ আরও বাড়বে সামাজিক নিরাপত্তা
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বরাদ্দ নিয়ে করা এক প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৪ বছরের শাসনামলে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। চলতি বাজেটে এই খাতের বরাদ্দ আরও বাড়ানো হয়েছে।’
‘এই কর্মসূচি আগেও ছিল। চলতি অর্থবছরেও থাকবে। সামাজিক খাতে আমাদের বরাদ্দ আগে ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা। গত বছর সেটা এক লাখ কোটি টাকার বেশি ছিল। এবারের বাজেটে সেটা এক লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।’
কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই নীতি অবলম্বন করে দেশ শাসন করছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘৫০ লাখ পরিবারকে আগে ১০ টাকা কেজিতে এখন ১৫ টাকায় চাল দিচ্ছি, এ বছর পরিস্থিতির কারণে এক কোটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে তেল চিনি ও বিভিন্ন খাদ্য পণ্য দেওয়া হয়েছে। কাজেই আমি নিশ্চিত করতে চাই, সামাজিক সুরক্ষার বিষয়গুলো বাজেটে আছে এবং এগুলো অব্যাহত থাকবে।‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যদি খাদ্যের উৎপাদন কমে যায়, সেই ক্ষেত্রে অন্য কর্মসূচি স্থগিত রেখে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে মানুষের খাদ্যের কষ্ট দূর করা হবে। একটি মানুষ যেন খাদ্যের অভাবে না মারা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটা বার বার বলেছেন। সুতরাং দরিদ্র মানুষের জন্য এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
শব্দযন্ত্র বিভ্রাট
শব্দযন্ত্রের জটিলতায় অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বার বার বিঘিœত হয়েছে। সম্মেলন শুরুর আধঘণ্টা পরেই তা ১০-১২ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। বিকাল সোয়া ৩টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু কথা শুরু হলেও সাংবাদিকরা তা শুনতে পাচ্ছিলেন না। পরে কয়েকজন সাংবাদিক বিষয়টি জানালে শব্দযন্ত্র ঠিক করা হয়। এরপর আবার কথা বলতে শুরু করেন মন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন নেওয়ার সময় কয়েকটি প্রশ্ন ভালো শুনতে পাচ্ছিলেন না অর্থমন্ত্রী। তিনি প্রশ্নের যে জবাব দিচ্ছিলেন অনেক সময় সাংবাদিকরাও তা ভালো শুনতে পাচ্ছিলেন না। প্রায় ৩০ মিনিট এভাবেই সংবাদ সম্মেলন চলে।
বেলা পৌনে ৪টার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন একেবারেই শুনতে পাচ্ছিলেন না মঞ্চে বসা অর্থমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আওয়াজই পাচ্ছি না।’
তখন অর্থমন্ত্রীর বাঁ পাশে বসা স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মনে হয় সিস্টেমের মধ্যে ভালো ত্রুটি আছে। আপনারা (সাংবাদিক) যা বলেন আমরা শুনি না, আমরা যা বলি আপনারা শোনেন না।’
এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই সাউন্ড সিস্টেম ঠিক করতে তোড়জোর শুরু করেন। কিন্তু এতেও সমাধান না হলে মিলনায়তনে কিছুটা হট্টগোল তৈরি হয়। এ সময় মন্ত্রী তাজুল বলেন, ‘সিস্টেমের দোষ! আমাদের এ মুহূর্তে কিছু করার নাই। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন তারা সিস্টেমটি দেখুন।’
হট্টগোলের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে চেয়ার থেকে উঠে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। হ্যান্ড মাইক চাইলেও সঙ্গে সঙ্গে তাও দিতে পারেননি আয়োজকরা।
পরে টেলিভিশনের ক্যামেরাগুলো মূল মঞ্চের সামনে সেট করতে বলা হয়। এতে মিলায়তনে উপস্থিত দর্শক ও সাংবাদিকরা খালি চোখে মঞ্চ দেখতে পারছিলেন না। বড় পর্দায় মঞ্চ দেখার সুযোগ থাকলেও কয়েকজনের আপত্তিতে ক্যামেরাগুলোকে আগের জায়গায় ফিরে যেতে বলা হয়।
এভাবে প্রায় ১০-১২ মিনিট বন্ধ থাকার পর বিকাল ৪টার কিছুটা আগে পুনরায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হলেও সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে অস্বস্তি শেষ পর্যন্ত ছিল।
এর আগে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনগুলো হয়েছে। করোনা মহামারীর মধ্যে ২০২১ সালে ভার্চুয়ালি এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার সংবাদ সম্মেলনের মূল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।