সুপ্রভাত ডেস্ক »
পাঁচ দিনের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৭২৭ মিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রার অদলবদলের সুবাদে সোমবার (৪ মার্চ) রিজার্ভ বেড়ে ২১.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২০.৫৭ বিলিয়ন ডলার। তথ্যমতে, সোমবার (৪ মার্চ) মানি মার্কেট ১০০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের মুদ্রা অদলবদল হয়েছে। খবর টিবিএস।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এটিও গ্রস রিজার্ভ বাড়ার কারণ হতে পারে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ব্যাংকের সাথে কারেন্সি সোয়াপ হচ্ছে। এটাও একটা কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভের অর্থ যেখান থেকে আসে ও ব্যয় হয়, এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য নেই। ফলে রিজার্ভ ধরে রাখা যাচ্ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। তবে এভাবে ধরে রাখাটা কতদিন সম্ভব হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কারেন্সি সোয়াপের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন থেকেই পদ্ধতিটি রিজার্ভে অবদান রাখতে শুরু করেছে।
মুদ্রার অদলবদলের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (বিদেশে থাকা দেশীয় ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট) থেকে ডলার বিনিময় করছে, যার সুবাদে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রস রিজার্ভ বাড়াতে পেরেছে।
মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে যে ডলার আসবে, তা নিট রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে না। কেননা মুদ্রার অদলবদল হয় স্বল্প মেয়াদে। গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াডি দায় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
তারল্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোকে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।