নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ও প্রতিনিধি, হাটহাজারী »
কক্সবাজারের রামুতে যাত্রীবাহী একটি বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন যাত্রী। গতকাল সোমবার সকাল ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামুর জোয়ারিয়ানালা মহিলা মাদ্রাসার সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইজিবাইক (টমটম) যাত্রী মোহাম্মদ গনি (৩০) রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মুরাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
দুর্ঘটনায় ইজিবাইক চালকসহ ৮ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ইজিবাইক চালক নুরুল আজিমের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। নুরুল আজিম (২৪) রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জোয়ারিয়ানালা গ্রামের জাফর আলমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি ইজিবাইক অপর একটি ইজিবাইককে ওভারটেক করার চেষ্টা চালায়। এ সময় চট্টগ্রাম অভিমুখী যাত্রীবাহী বাস মারছা’র সাথে ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে পথচারীরা আহতদের উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এর মধ্যে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইজিবাইকের যাত্রী মোহাম্মদ গনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামুর তুলাতলী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন জানান দুর্ঘটনায় ১ জন মারা গেছেন। মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আহত ১ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট এলাকায় বাসের ধাক্কায় জিন্নাতুন নেসা (৫২) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই এলাকার শাহজালাল স্কুলের সামনে হাটহাজারী-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চোখের চিকিৎসার জন্য জিন্নাতুন নেসা ছোট বোনকে নিয়ে শহরের একটি চক্ষু হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন নিহতের ছেলে নগর আলী।
নিহত জিন্নাতুন নেসা পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে চৌধুরীহাট এলাকার শাহজালাল আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্থায়ী বাড়ি নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানাধীন চরহাসান গ্রামে বলে জানা গেছে।
গতকাল দুপুরের দিকে নিহতের বড় ছেলে নগর আলী আরো বলেন, আমার মা (জিন্নাতুন নেসা) চোখের চিকিৎসার জন্য ছোট খালাকে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের একটি চক্ষু হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে শাহজালাল স্কুলের সামনে (হাটহাজারী-চট্টগ্রাম) মহাসড়ক পার হচ্ছিলো। এ সময় শহরের দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস (চট্টমেট্রো-১১-১১০১) ধাক্কা দিলে মা রাস্তায় ছিটকে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পর স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে বাসটি আটক করলেও বাসের চালক পালিয়ে যান।