নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
গত ২৭ জানুয়ারি রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. নাসিরকে কূপিয়ে এবং পায়ের রগ কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৭ আসামির ২ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। জামিন দিয়েছে ৪ জনকে। জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ এবং জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমানকে। অন্তর্বর্তীকালিন জামিন পেয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব খান, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর দে, কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য আজমীর হোসেন। এর আগে এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাবরণ করে জামিন পেয়েছিলেন আরেক আসামি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মীর শাকিল।
রোববার রাঙামাটির চিফ জুসিডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তীর আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিন চাইলে আদালত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দুই আসামিকে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয় এবং বাকিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এই মামলার আরেক আসামি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনকে এর আগেই পুলিশি চার্জশিটে বাদ দেয়া হয়েছিলো।
গত ২৭ জানুয়ারি রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিরকে কূপিয়ে এবং পায়ের রগ কেটে গুরুতর আহত করে একদল যুবক। তিনি তখন চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ৩১ জানুয়ারি পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণে আদালতের বিচারিক কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আসামিরা রোববার জামিন আবেদন নিয়ে আদালতে গেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিপ্লব চাকমা জানিয়েছেন, আসামিরা নিয়মানুসারে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন পর্যালোচনা করে ৪ জনকে জামিন এবং ২ জনের আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। এর আগে এই মামলার আরেক আসামি মীর শাকিল গ্রেফতার হয়ে কারাবরণের পর জামিন নিয়েছিলেন।
মামলার বাদি যুবলীগ নেতা নাসির বলেছেন, তারা জামিনের জন্য আজ আদালতে হাজির হবে, এটা আমি জানতাম না। তাই আমার পক্ষে আদালতে কোন আইনজীবীও ছিলোনা। তবুও মহামান্য আদালত অন্যতম দুই আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন, বাকিদেরও জেল হাজতে পাঠালে আমি খুশি হতাম। আমি ন্যায় বিচার চাই।’ একই সাথে পুলিশের চার্জশিট থেকে অন্যতম আসামি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনের নাম বাদ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়া জানিয়েছেন,আমি কিছুদিন আগে চার্জশিট দিয়েছি। সেখানে সাতজনের নাম উল্লেখ করেছি। আসামিরা জামিন চেয়েছেন কিনা সেটা আমি জানিনা।’