চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য সম্মান করতে না পারলে সমাজে গুণী ব্যক্তির সৃষ্টি হয় না।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আজকে শিক্ষক, সাংবাদিক, সঙ্গীত বিশারদসহ যাঁরা প্রত্যেকেই সমাজ উন্নয়নের কারিগর। তাদেরকে সংবর্ধিত করার পাশাপাশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদানের মাধ্যমে যে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, তাতে তাদের মধ্যে আগামীতে দেশ ও দেশমাতৃকার কল্যাণে কাজ করার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে গুণীজন, কৃতী সাংবাদিক ও মেধাবী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
ড. শিরীণ আখতার আরো বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা বরাবরই চট্টগ্রামের তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক। আর এই বিবেকের তাড়নায় আপনারা যে কাজগুলো করেন, সেগুলো সর্বক্ষেত্রে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। আমরাও নানা প্রয়োজনে আপনাদের সহযোগিতা-পরামর্শ গ্রহণ করে থাকি।
প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম। সংবর্ধিত কৃতী সাংবাদিক চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী
খান এবং প্রবীণ সাংবাদিক কবি-ছড়াশিল্পী প্রদীপ নন্দী এবং গুণীজনদের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট সঙ্গীত বিশারদ ওস্তাদ মিহির লালা অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে গুণীজন এবং কৃতী সাংবাদিকদের হাতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি ড. শিরীণ আখতার এবং প্রেসক্লাব সভপতি আলহাজ আলী আব্বাসসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
কণ্ঠসৈনিক মিহির কুমার নন্দীর (মরণোত্তর) ক্রেস্ট গ্রহণ করেন তাঁর সহধর্মিণী নন্দিতা নন্দী।
প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস বলেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বরাবরই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হিসেবে পরিচিত। এখানে ভবনের সামনে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্বলিত ম্যুরাল আর ভবনের উপরে
রয়েছে জাতির পিতার নামে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হল।
সংবর্ধিত কৃতী সাংবাদিক আবু সুফিয়ানকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আসন থেকে মনোনয়ন প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে মাহের ইবনে রহমান, অনিন্দ্য সেন, রাহী বিনতে রহমান, প্রান্ত চৌধুরী, নিশাত তাসনীম, ইশিকা ইবনাত কথা, কাজী সিলিয়া বাশার, আয়ীদ রায়হান, মারুফুর রহমান রহাত, রবিন মল্লিক, সামিহা সাবা, আভাস চিরন্তন দেওয়ানজী, এসএম আশফাকুল ইসলাম, তানভীদুল ইসলাম মিসবাহ,সৈয়দা সামিহা মেহজাবীন, উম্মে সায়মা সুলতানা, সৈয়দ মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম, মুশফিকা তাবাসসুম, তাসনুভা সুলতানা চৌধুরী, ফারিহা মুজাহিদ রুহি, মুহাম্মদ মুজতাহিদ, সাঈদ ফয়সল, জারিন ইবনাত, শারিকা হাসান, আহমেদ সাদ সাবিত, রাইসা হাফিজ খান, মিফতাহুল ফেরদৌস, ওয়ানাইজা রহমান শ্রেয়া, মিথিলা বড়–য়া, অজয়িতা বড়–য়া অয়ী, অপরূপ বড়–য়া, সেঁজুতি হায়দারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের, সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অঞ্জন সেন, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি স ম ইব্রাহীম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলালউদ্দিন চৌধুরী এবং মহসিন চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন হায়দার, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দেবদুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজুসহ সাংবদিকসহ সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি