যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের রাজনীতি ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, দ-িত যুদ্ধাপরাধীদের সকল সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা, মুক্তিযুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্যাতনের জন্য রাজাকার-আলবদর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গড়ে তোলা সকল ‘টর্চার ক্যাম্পকে’ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা, হুম্মামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার কমিটির আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা কমান্ডাররা ১৬ নভেম্বর দুপুরে গণি বেকারি মোড়ে যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর বাস ভবন সম্মুখে অবস্থান নেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা বলেন, কুখ্যাত সাকা চৌধুরী দন্ডিত যুদ্ধাপরাধী।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড গত ২৯ এপ্রিল ঘেরাও কর্মসূচি থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর নির্যাতন কেন্দ্র ও রাজাকার ক্যাম্প গুডস হিলের সামনে রাজাকার বাড়ি লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছিল কিন্তু রাতের অন্ধকারে তারা সেই লিখা মুছে দেয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর বাড়ির সামনে রাজাকার বাড়ি লিখার ঘোষণা দেন এবং হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, রাজাকার বাড়ি লেখা যদি আবার ঢেকে দেওয়া হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কঠোর কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারগণ অবিলম্বে ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চান্দপুর জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ ওয়াদুদ, কক্সবাজার জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, খাগড়াছড়ি জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রইজ উদ্দিন, চসিক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহাবুবুল ইসলাম প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সহসাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাহামুদ রেজা, শের স¤্রাট খান, চট্টগ্রাম মহানগরের আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, জেলার আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব মোহাম্মদ কামরুল হুদা পাভেলের পরিচালনা অবস্থান কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, বান্দরবান জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চৌধুরী, ফেনী জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব, নোয়াখালী জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক মিলন, রাঙ্গামাটি জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন চৌধুরী, কুমিল্লা জেলার ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, এফএফ আকবর খান, জেলার সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমারান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি