সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আগুন বোলিং করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোরও খুব একটা বড় হয়নি। ১৫৫ রানের লক্ষ্য পায় রাজস্থান রয়্যালস। বাংলাদেশ পেসার বোলিংয়ে নিজের কাজ সেরে রাখলেও তার সতীর্থ ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ। তাই দারুণ বল করেও হতাশায় শেষ হলো ম্যাচ। আইপিএলে দিল্লির কাছে ৩৩ রানে হেরেছে মোস্তাফিজের রাজস্থান।
আজ (শনিবার) আবুধাবির ম্যাচে মোস্তাফিজ ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করতে পারে ১৫৪ রান। সেই লক্ষ্যে ৬ উইকেটে ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি রাজস্থান। এই জয়ে আবারও শীর্ষে উঠেছে ঋষভ পান্তরা। ১০ ম্যাচে ৮ জয়ে তাদের পয়েন্ট ১৬। এক ম্যাচ কম খেলা চেন্নাই সুপার কিংস ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। আর রাজস্থান ৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে।
দিল্লির বোলারদের সামনে সঞ্জু স্যামসন ছাড়া রাজস্থানের কোনও ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে পারেননি। রাজস্থান অধিনায়ক ৫৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে। তিনি ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন শুধু মহিপল লমরর। ২৪ বলে ১ ছক্কায় তিনি করেন ১৯ রান। ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন (১), যশস্বী জয়সওয়াল (৫), ডেভিড মিলার (৭), রায়ান পরাগ (২) ও রাহুল তিওকিয়া (৯)।
দিল্লির জয়ের পথ তৈরি করেছেন বোলাররা। সবচেয়ে সফল আনরিখ নর্কিয়া। প্রোটিয়া পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট কাগিসো রাবাদা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল ও আভেশ খানের।
এর আগে মোস্তাফিজদের চমৎকার বোলিংয়ে খুব বেশি দূর যেতে পারেনি দিল্লি। বল হাতে রীতিমতো বসন্ত চলছে বাংলাদেশি পেসারের। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছিলেন দুর্দান্ত। আইপিএলে গিয়ে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতেও দাপট দেখাচ্ছেন বাঁহাতি পেসার। করোনাভাইরাস বিরতির পর প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় পর্বে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে উইকেট না পেলেও ছিলেন কার্যকারী। আর আজ দিল্লির বিপক্ষে অসাধারণ সময় কাটালেন মোস্তাফিজ। চমৎকার বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বল তুলে দেন মোস্তাফিজের হাতে। প্রথম ওভারে তিনি খরচ করেন ৬ রান। ওই এক ওভারই শেষ। দ্বিতীয় স্পেলে মোস্তাফিজ বল পান ইনিংসের ১২তম ওভারে। এই ওভারে ‘ফিজ’ পেয়ে যান আইপিএল দ্বিতীয় পর্বের প্রথম উইকেট। বোল্ড করে ফেরান দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পান্তকে। ১ উইকেট নিয়ে তার খরচ মাত্র ৫ রান। আবার বিরতি দিয়ে ১৭ ওভারে বোলিংয়ে আসেন কাটার মাস্টার। এই ওভারেও উইকেট। শিমরন হেটমায়ারকে ফিরিয়ে খরচ করেন মাত্র ৪ রান।
মোস্তাফিজের জাদুকরী বোলিং চলেছে ইনিংসের শেষ ওভারেও। ৯ রান খরচ করলেও ভুগতে হয়েছে দিল্লি ব্যাটসম্যানদের। শেষ দুই বলে ৪ রান এসেছে। কিন্তু তাতে মিশে আছে মিস ফিল্ডিং ও দুর্ভাগ্য। রান আউটের সুর্বণ সুযোগ নষ্ট হয় মোস্তাফিজ স্টাম্পে বল লাগাতে না পারায়।
সব মিলিয়ে অসাধারণ এক ম্যাচ পার করলেন বাংলাদেশি পেসার। পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা দিল্লির ব্যাটসম্যানদের একেবারেই সুবিধা করতে দেননি মোস্তাফিজ। সবচেয়ে বড় কথা, ৪ ওভারে একটি বাউন্ডারিও হজম করেননি বাঁহাতি পেসার!