নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই »
মিরসরাইয়ে স্যটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে শত শত রোগী। প্রতি সপ্তাহে উপজেলার কোন কোন ইউনিয়নে এসব চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের কাজী বাড়িতে ৬২ জন রোগীকে স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধমে সেবা দেয়া হয়েছে। তম্মধ্যে মহিলা ২৩ জন, পুরুষ ৬ জন, শিশু ১১ জন রয়েছে। এছাড়া ২২ জন বিভিন্ন সেবা নিয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৩২টি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে টিকা কেন্দ্রগুলোকে স্যাটেলাইট ক্লিনিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অথবা রোগীদের সুবিধামত একটি স্থান নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট একটি তারিখে দেয়া হয় স্যাটেলাইট ক্লিনিক সেবা। ইউনিয়নের জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে ৫ থেকে ৯টি ইউনিটে বিভক্ত করা হয় কেন্দ্রগুলোকে। জনসংখ্যা কম থাকায় ধুম ইউনিয়নকে ৫টি ইউনিটে বিভক্ত করা হয়েছে। আবার জনসংখ্যা বেশি থাকায় করেরহাট ইউনিয়নকে ৯টি ইউনিটে বিভক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ ৩২টি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ৬২২ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। চিকিৎসা সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে গর্ভবতী সেবা, প্রসবোত্তর সেবা, চর্ম রোগ, জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগ। এছাড়া বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় বিভিন্ন রোগের ওষুধ।
স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতা ফারজানা আক্তার বলেন, আমি গর্ভবতী হওয়ার পর একাধিকবার স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করেছি। প্রয়োজনীয় ওষুধ পেয়েছি বিনামূল্যে।
সেবাগ্রহীতা জসিম উদ্দিন বলেন, স্যাটেলাইট ক্লিনিকে গিয়ে আমি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করে ভালো আছি। তবে দামি ওষুধগুলো বিনামূল্যে আরো বেশি বেশি প্রদান করলে নিম্ম ও মধ্যবিত্তরা উপকৃত হবে।
স্যাটেলাইট ক্লিনিকগুলোতে সব ধরনের সেবা দেয়া হয় জানিয়ে হিঙ্গুলী পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক দেবব্রত ভট্টাচার্য দেবু বলেন, স্যাটেলাইট ক্লিনিকগুলোতে গর্ভবতী, প্রসব পরবর্তী, জ¦র, কাশি, চর্মসহ সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া জ্বর, গ্যাস্ট্রিক ও কাশিসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
হিঙ্গুলী ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা তমা দেবী বলেন, স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ঘরে বসে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। বিশেষ করে গর্ভবতী ও প্রসব পরবর্তী মহিলারা এই সেবা বেশি গ্রহণ করে থাকে। তাই ধীরে ধীরে বাড়ছে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে একজন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা ছাড়া চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। বেশি জটিল রোগী হলে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকরা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।