নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) এলাকায় হাসপাতাল না হওয়া প্রসঙ্গে সরকারি উচ্চমহলের আশ্বাস পেয়ে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে নাগরিক সমাজ- চট্টগ্রাম। ৪৬৩ দিনের এ আন্দোলনে নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিলে মিছিলে যোগ দেয় চট্টগ্রামবাসী। সমাবেশে মিছিলের পর মিছিল আর উচ্ছাসের সুরে দেওয়া স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সিআরবি প্রাঙ্গণ।
গতকাল শনিবার দুপুরে আয়োজিত নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের সিআরবি রক্ষার আন্দোলনে শেষ সমাবেশে এ দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশস্থলে দুপুর ২টা থেকে দলে দলে আসতে থাকে মানুষ। তিনটা নাগাদ অনুষ্ঠান শুরু হলেও মানুষের ঢল থামেনি। মিছিল নিয়ে স্লোগান তুলে চতুর্দিক থেকে মানুষ আসতে থাকে। শেষ সমাবেশে যোগ দিয়ে স্লোগানে-স্লোগানে তারা বহিঃপ্রকাশ করেন তাদের বিজয়ের। কখনো কখনো তাদের আবেগ জড়ানো স্লোগান থামিয়ে দিচ্ছিল বক্তাদের বক্তব্য। বিষয়টি বুঝে নিয়েছেন বক্তারাও।
এ নিয়ে নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের একজন সংগঠক সুপ্রভাতকে বলেন, ‘টানা দেড় বছরের এ আন্দোলনে আমরা সবাই একটি পরিবার হয়ে গেছি। এ আন্দোলনে আমাদের একমাত্র লক্ষ ছিলো বিজয়। আমরা জয়ী হয়েছি। আনন্দিতও হয়েছি, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমাদের এ সফল আন্দোলনে যারা আমাদের সঙ্গে ছিলো তাদের প্রতি ভালবাসা জানাই। এছাড়া এ আন্দোলনের সময়ে আমরা দু’জন প্রিয়মুখকে হারিয়েছি। বেগম মুশতারী শফী ও ড. গাজী সালেহ উদ্দিন স্যারকে আমরা হারিয়েছি। তারা দুজনই জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সিআরবি রক্ষা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। আজ তারাও খুব আনন্দিত হতেন।’
প্রসঙ্গত, সিআরবি রক্ষার এ আন্দোলনে চট্টগ্রামবাসী রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, উপেক্ষা করে এমনকি ঈদ, পূজা-পার্বণের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন। টানা ৪৬৩ দিনের এ আন্দোলন সফল হওয়ার ইশারায় পুরো চট্টগ্রামবাসী মেতে ওঠেন।