সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আগামী ১৭ অক্টোবর পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরে অংশ নিতে আগামীকাল (রবিবার) রাতে ওমানের উদ্দেশে যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল। মাহমুদউল্লাহরা দেশ থেকে গেলেও সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে চলছে আইপিএল। তবে প্রতিযোগিতাটি শেষ হওয়ার আগেই ৯ অক্টোবর দলের ক্যাম্প ওমানে যোগ দেবেন এই দুই ক্রিকেটার।
কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দুই সপ্তাহ আগে ওমানে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহরা। ইতিমধ্যে ক্রিকেটারদের করোনা টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল (রবিবার) সকালে রিপোর্ট পাওয়ার কথা। নেগেটিভ হওয়া ক্রিকেটাররাই কেবল ওমানের ফ্লাইট ধরতে পারবেন। অন্যদিকে আইপিএল খেলতে আরব আমিরাতে থাকা সাকিব-মোস্তাফিজ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ৯ অক্টোবর। ৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের অনাপত্তিপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দুজনেরই বিশ্বকাপ ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।
ওমানে প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ দল খেলবে স্কটল্যান্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। এই পর্ব টপকে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের যেতে হবে আরব আমিরাতের সুপার-১২ রাউন্ডে। রবিবার ওমানে পৌঁছানোর পর একদিনের রুম কোয়ারেন্টিন শেষ করে অনুশীলনের জন্য চারটি সেশন পাবে মাহমুদউল্লাহরা।
৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে অনুশীলন। চার দিন টানা অনুশীলনের পর ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ দল যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে একদিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ১১ অক্টোবর আবার শুরু করবে অনুশীলন। এরপর ১২ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ও ১৪ অক্টোবর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ওয়ার্ম-আপ খেলে পরদিন আবার ওমানে ফিরে আসবে মাহমুদউল্লাহরা।
১৬ অক্টোবর একবেলা অনুশীলনের পরই বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। ১৯ অক্টোবর স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে ম্যাচের পর ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলবে। বাছাই পর্ব উতরাতে পারলে পরদিনই আবার রওয়ানা দিতে হবে আরব আমিরাতের উদ্দেশে। সেখানে ২৫ অক্টোবর শারজাতে আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের ‘আসল’ বিশ্বকাপ শুরু হবে।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করবে বলে বিশ্বাস নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকের। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘সম্ভাব্য সেরা দলই যাচ্ছে। আশা করবো যেন ভালো একটা ফলাফল হয়। অমুক অবস্থানে দলকে দেখতে চাই- এভাবে বলা ঠিক হবে না। ভালোর শেষ নেই। আমি তো খুশি হবো চ্যাম্পিয়ন হলেই। আমি নিশ্চিত সবাই তাতেই খুশি হবেন। আমি চাইবো বাংলাদেশ দল যেন ভালো ক্রিকেট খেলে।’
উল্লেখ্য, ওমানে প্রথম পর্বে আট দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে। সেখানকার শীর্ষ ও রানার্স-আপ সুযোগ পাবে সুপার-১২ রাউন্ডে। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন না রানার্স-আপ হবে, সেটা জানা নেই। কিন্তু আইসিসি একটা ধারা যোগ করে দিয়েছে। যেখানে বলা আছে, বাংলাদেশ প্রথম কিংবা দ্বিতীয় যাই হোক, তাদেরকে ধরা হবে ‘বি’ গ্রুপের সেরা (বি-১)। গ্রুপ ‘এ’ তে থাকা শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। র্যা ঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকার কারণে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে গ্রুপের শীর্ষ বাছাই ধরা হয়েছে।