সুপ্রভাত ডেস্ক »
গত ১ ডিসেম্বর বিয়ে করেছেন মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা ও সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন। এটি ইলিয়াসের তৃতীয় বিয়ে। এই বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ইলিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী করিন নাজ সরব হয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, তাকে ডিভোর্স না দিয়েই ইলিয়াস তৃতীয় বিয়ে করেছেন। করিনের মতে, ইলিয়াসকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন সুবাহ।
এদিকে বিয়ের পর পরই শুরু হয়েছে ইলিয়াস-সুবাহর দ্বন্দ্ব। দ্বিতীয় স্ত্রী করিনকে এক ফোনকলে ইলিয়াসকে বলতে শোনা গেছে, সুবাহ তাকে বেকায়দায় ফেলে বিয়ে করতে বাধ্য করেছেন। এমনকি বিয়ের পর ইলিয়াসের গায়ে হাতও তুলেছেন সুবাহ।
এসবের মধ্যেই ২৭ ডিসেম্বর রাতে নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে ইলিয়াসকে নিয়ে নানান অভিযোগ তোলেন সুবাহ। তার কাছে ডিভোর্সও চেয়েছেন তিনি। ইলিয়াস সেসব কথার বিপরীতে জবাব দিয়েছেন। শান্ত হতে বলেছেন সুবাহকে। কিন্তু তাতেও যে দুজনের মধ্যে চলমান কলহ কমেনি তা সুবাহর একটি পোস্টে স্পষ্ট।
গতকাল দুপুরে ইলিয়াস ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী করিন নাজের একটি কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করেন সুবাহ। যার ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘শুনে দেখুন সবাই। এইজন্যই আমি লাইভে আসছিলাম সেদিন, ওর সাথে যখন আমার ঝগড়া লেগেছিল। আমার যখন বিয়ে হয়েছে পারিবারিকভাবে তখন আমরা সবাই ওর পিছনে ৫৬ লাখ টাকা খরচ করেছি। ও যখন আমাকে বিয়ে করেছে বিয়ের মধ্যে আমাকে শাড়ি গয়না কোন কিছু, ইভেন্ট, বিয়ের কোন খরচও করেনি । সে বিয়ের পর আমার কাছে অনেক কিছুই চেয়েছিলো।’
সুবাহ লেখেন, ‘আমার মা ওকে ২৫ হাজার টাকা দামের একটা ঘড়ি গিফট করেছে, ডায়মন্ডের সোনার দুইটা আংটি হোয়াইট গোল্ডের চেইন আমি দিয়েছি। জুতা-স্যান্ডেল, বিয়ের শেরওয়ানি, পাঞ্জাবি এভরিথিং আমরা দিয়েছি। সামর্থ্য অনুযায়ী ওকে কিনে দিয়েছি। আমার ভাই ওকে রোলেক্স এর প্রায় ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা দামের একটা ঘড়ি পর্যন্ত কিনে দিয়েছে। এছাড়া আমার আম্মু ইলিয়াসকে বলেছিলো তোমার আর যা ডিমান্ড আছে আমরা দেবো। সুবার বাবা বেঁচে নেই, তাই গাড়ি ফ্লাট কিনে দিতে লেট হবে বাবা।’
সুবাহ লেখেন, ‘আমি সরল মনে ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম সংসার করার জন্য, বাচ্চা নেওয়ার জন্য। আর ও আমাকে বিয়ে করেছিল আমার শরীরকে ভোগ করার জন্য এবং টাকার জন্য। আল্লাহর কাছে এবং আপনাদের সবার কাছে আমি ওই বেইমান চরিত্রহীন মিথ্যাবাদীর নামে বিচার দিয়ে রাখলাম।’
সুবাহর পোস্টের কমেন্ট বক্সে ইলিয়াস এসব কথাকে মিথ্যা-বানোয়াট বলে দাবি করেন। এই গায়ক লেখেন, ‘এগুলো যে মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা সেটা জাতি বুঝতে পেরেছে। এতোদিন চুপ ছিলাম, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমার কথা বলা উচিত। আমাকে যে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছো সেটার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। আমি চাইনি এসব সামনে আনতে কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আনতে হবে।’