সুপ্রভাত ডেস্ক »
করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ আগামী মার্চ-এপ্রিলে দেশে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
সোমবার বিকেলে অধিদফতরের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। খবর ঢাকা পোস্টের।
খুরশীদ আলম বলেন, আমরা ধারণা করছি মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। এ কারণে আমরা সারাদেশের হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা জোরদারের জন্য কাজ করছি।
তিনি বলেন, মৃত্যুঝুঁকিতে আছেন শারীরিকভাবে অসুস্থ এমন ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। যাদের কোমরবিডিটি আছে, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে আছেন তারা বুস্টার নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা হবে না।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধন করার সময়ে সব তথ্য নেওয়া হয়েছে। এটা দেখেই নিশ্চিত হবে যে তার কোমরবিডিটি আছে কি না। আর কেউ যদি নিবন্ধনের সময় তথ্য না দিয়ে থাকে তাহলে সে দেখাবে যে ক্যানসারে আক্রান্ত। অনেক ধরনের কোমরবিডিটি আছে। আমরা চিন্তা করছি যে কোমরবিডিটিগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ- ক্যানসার, এন্টিক্যানসার ড্রাগ খেয়েছে, রেডিয়েশন পেয়েছে, কেমোথেরাপি পেয়েছে, ইমিউন দুর্বল এ ধরনের মানুষগুলোকে আমরা প্রাধান্য দিতে চাইছি।
প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৪০টি হাসপাতালে অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এই ৪০টি ছাড়াও বিভিন্ন উৎস থেকে আরও কিছু অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রোববার পর্যন্ত ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ। গত মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জন।