মুস্তাফা মাসুদ »
২৮ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারীএই মহীয়সী নারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে এক বৈরী পরিস্থিতিতে দৃঢ় হাতে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তাঁর অমিত সৎসাহস, প্রজ্ঞা আর দূরদর্শী বিচক্ষণতা আজ তাঁকে বাংলাদেশের বিকল্পহীন নেতা ও নন্দিত দেশনায়কে পরিণত করেছে। তিনি আজ সমগ্র জাতির আশা ও স্বপ্নের প্রতীক; আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ বা মানবতার জননী হিসেবে প্রশংসিত। জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর প্রতি আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অন্তহীন শ্রদ্ধা।
বাংলাদেশের রাজনীতি ও দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিরল বৈচিত্র্যময়, ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের ধারক। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও বৃহত্তর পরিসরের রাজনীতি তাঁর পূর্বপরিকল্পনায় ছিলো না বলেই ধারণা করা যায়; কিন্তু অনিবার্য এক ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই তাঁকে পিতার উত্তরাধিকারিত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়।
উনিশশো পঁচাত্তর সালের পনেরোই আগস্ট জাতির ললাটে লেপে দিয়ে যায় রক্তাক্ত শোক আর কলংকের কালিমা। কতিপয় বিভ্রান্ত সামরিক ব্যক্তি ও অন্যান্য দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী মহলের ষড়যন্ত্রের ফলশ্রুতিতে এদিন ভোর রাতে হত্যা করা হলো স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যা করে খুনিরা। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ছোটোছেলে দশ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও তারা নিষ্ঠুরভাবে খুন করে। শুধু বঙ্গবন্ধুর বড়ো মেয়ে শেখ হাসিনা ও ছোটো মেয়ে শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান ঘাতকদের হাত থেকে।
খুনিরা এবং তাদের পেছনের ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান অর্জনকে মুছে ফেলতে। মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক উদার গণতান্ত্রিক চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা সেই পথেই অগ্রসর হয়। তখনকার সরকার আইন করে যে, বঙ্গবন্ধু-হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার করা যাবে না! এছাড়া, ১৯৭১ সালে যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল এবং বাঙালি-হত্যায় অংশ নিয়েছিল, এমন ব্যক্তিদেরও মন্ত্রী বানানো হলো। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিদায় করা হলো। রাজাকার-আলবদর-স্বাধীনতাবিরোধীদের মহা সুদিন এসে গেল। তারা আবার রাজনীতি করার সুযোগ পেল। আরো অনেক অনেক সুবিধা দেওয়া হলো তাদের। এমনকি জাতির পিতার খুনিদের বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হলো। ব্যবসা-বাণিজ্যেরও সুবিধা করে দেওয়া হলো। খুনিদেরকে ‘জাতীয় বীর’ বলেও বাহবা দিল কেউ কেউ।
অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধারা হলেন অবহেলিত। বাড় বাড়ল স্বাধীনতাবিরোধীদের। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগও তখন বেশ দুর্বল। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কিছু বিভেদও ইতিমধ্যে সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। বিচক্ষণ ও সাহসী নেতৃত্বের অভাবে দলটির অবস্থা তখন নাজুক।ঠিক এমনি এক বৈরী সময়ে জাতির সামনে আশার আলো নিয়ে এলেন বঙ্গবন্ধুর স্বর্ণোজ্জ¦ল রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও আকাশছোঁয়া গরিমার উত্তরাধিকারী তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁকে বিবেচনা করা হলো জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে। এ-কারণে দলে অনেক বাঘা-বাঘা সিনিয়র নেতা থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনাকে সামনে আনা হলো। বিদেশে থাকাকালেই ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে আওয়ামী লীগপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এরপর একই বছরের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে এসে দলের হাল ধরেন। তাঁর নেতৃত্বের গুণে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়ায়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে একতা ও নতুন উদ্যম ফিরে আসে। তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে তিনি সরাসরি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামেন। এজন্য বেশ কয়েকবার তাঁকে গৃহবন্দিও করা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে অবিচল থেকে তিনি দল পরিচালনা করতে থাকেন। তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্ব, মেধা, সাহস আর দেশপ্রেমের চেতনায় জনগণ আশায় বুক বাঁধে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী আদর্শে লালিত শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যেতে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অগণিত মানুষ, কবি-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মী তাঁর পক্ষে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে প্রথমবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেই তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘৃণ্য ঘাতকদের বিচারের উদ্যোগ নেন। প্রধান প্রধান কয়েকজনের সর্বোচ্চ সাজাও হয়। শুধু তাই নয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশীয় যেসব ঘাতক-দালাল মানবতাবিরোধী কর্মকা-ে লিপ্ত হয়, শেখ হাসিনা তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করেছেন। বিচারে বাঘা-বাঘা বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হয়েছে। এদের বিচার ঠেকাতে দেশে-বিদেশে বহু চেষ্টা হয়। কিন্তু সিংহহৃদয় বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা কিছুতেই পিছু হটেননি। আপসহীন দৃঢ়তায় তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়চিত্ত রয়েছেন, কোনো অন্যায়ের কাছেই তিনি মাথা নত করেননি বা পিছিয়ে আসেননি।জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং ধর্মীয় উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকার আপসহীন। কঠোরহস্তে তাদেরকে দমন করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এতকিছুর মধ্যেও দেশের উন্নয়ন কাজ কিন্তু থেমে নেই। এগিয়ে চলেছে স্বাভাবিক গতিতেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করাসহ তাঁর সরকারের অনেক অর্জনের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এযাবতকালের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়া, নারীর ক্ষমতায়নে বিস্ময়কর সাফল্য, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য হ্রাস, উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা বিদায়, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, জনজীবনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সমাজ-শত্রুদের দমন ইত্যাদি।
দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা নদীর ওপর বিশাল সেতু নির্মাণর উদ্যোগ শেখ হাসিনার আরেক ঐতিহাসিক কীর্তি। বিশ্বব্যাংক এই সেতু নির্মাণে টাকা দিতে চেয়েও নানা খোঁড়া অজুহাতে শেষ পর্যন্ত তা দিল না। দেশের মানুষ তাদের প্রিয় নেত্রীর দিকে তাকিয়ে রইল। হাজার হাজার কোটি টাকার বিষয়। এত টাকা পাবে কোথায় সরকারÑ এমন ধারণা বিরোধীদের এবং তাদের মিত্রদের মনে। কিন্তু শেখ হাসিনা দমবার পাত্র নন। দেশবাসীকে তিনি নিরাশ করলেন না। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা করলেন, পদ্মায় ব্রিজ হবে এবং তা হবে সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থেই। এমন বুকের পাটা ক’জনের থাকে! বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরির পক্ষে এমন কথাই তো স্বাভাবিক ছিলো সেদিন। আর, সব জল্পনা-কল্পনা, সন্দেহ-সংশয় এবং নানা অপপ্রচারের কালোমেঘ ফুঁড়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ শতসূর্যের হীরক-প্রভায় দীপ্যমান। সেইসাথে শেখ হাসিনার সংকল্প আর আত্মবিশ্বাসের কাছে আরেকবার পরাজিত হলো দেশি-বিদেশি চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র, নেতৃত্বের দুর্বলতা, সিদ্ধান্তগত পিছুটান এবং নতজানু মাইন্ডসেট।
এমনি অসামান্য দৃঢ়তার সাথেই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দল-জোটগুলোর চালানো সেই আগুন-সন্ত্রাস, নিরীহ সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে মারা, হরতাল-ভাঙচুর আর নজিরবিহীন নৈরাজ্যের কথা জাতি আজো ভেলেনি। সেসময় বিরোধীরা এবং তাদের মিত্ররা ভেবেছিল, সরকারের পতন শুধু সময়ের ব্যাপার। সেই চরম দুঃসময়েও শেখ হাসিনাকে আমরা হতাশ হতে দেখিনি। অন্যায়কারী সন্ত্রাসীদের একটুও ছাড় দিতে দেখিনি।অনেক সময় তাঁর ওপর আঘাত এসেছে। জীবনের প্রতি হুমকি এসেছে। ক্ষমতার বাইরে থাকতেও তাঁকে শেষ করে দেওয়ার জন্য ঘাতক-সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জে তাঁর জনসভাস্থলের পাশে বোমা পুতে রাখা হয়। সময়মতো সনাক্ত হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এরপর সবচেয়ে বড় আঘাতটি আসে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তাঁর জনসভায়। সন্ত্রাসবিরোধী ওই সভায় তাঁকে হত্যার জন্য অনেকগুলো আর্জেস গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এভাবে চরম সন্ত্রাসের পরিচয় দেওয়া হয়। এসময় সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আওয়ামী লীগনেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন মৃত্যুবরণ করেন। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। এভাবেই মৃত্যুকে জীবনের সাথী করে তিনি পথ চলেছেন, এখনো চলছেন। নির্মোহ আর অনড় বটবৃক্ষের মতো সমগ্র দেশবাসীর মাথার ওপর তিনি আশা ও আশ্বাসের ছায়া বিস্তার করে আছেন। তাঁর চারপাশে আজ দানবের বিষাক্ত নিশ্বাস। মানবরূপী হায়েনাদের নানামাত্রিক চোখরাঙানি। রক্তপিপাসু জঙ্গিদের নানামুখি তৎপরতা। তার পরও তিনি কি ভয়ে পিছিয়ে এসেছেন? না। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ আর নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আর, তাঁর অবস্থান স্পষ্ট বলেই এসব সমাজ-শত্রুরা মাথাতুলে দাঁড়াতে পারছে না। সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের অপতৎপরতা দমনে শেখ হাসিনার দৃঢ়তা আজ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত। দেশের পরিসর ছাড়িয়ে তিনি আজ বিশ্ব পর্যায়েও প্রশংসিত, নন্দিত। তাঁর তর্কাতীত দেশপ্রেম, সদিচ্ছা-সৎসাহস, অবিচল ব্যক্তিক দৃঢ়তা, মেধা এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষের মনের চাহিদা ও চোখের ভাষা বোঝার অসাধারণ ক্ষমতা তাঁকে পরিপূর্ণ এক জননায়কে পরিণত করেছে। মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর পরে এমনটি এদেশে আর দেখা যায়নি।
বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার আরেক অসামান্য অর্জন হলো ‘মাদার অব হিউমানিটি’ বা মানবতার জননী খেতাব লাভ। (২০১৮) স্বদেশ থেকে বিতাড়িত লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে তিনি মানবতার যে বিরল দষ্টান্ত স্থাপন করেন, তা বিশ্ববাপী বিপুল প্রশংসা লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক ’চ্যানেল ৪’ তাঁকে এই সম্মানজনক খেতাবে ভূষিত করে।দেশে করোনা মহামারির দুঃসময়ে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনাসহ স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাপনা ও এতদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে তাঁর সরাসরি নির্দেশনা-তদারকি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সুষ্ঠু এবং নিবিড় ব্যবস্থা গ্রহণের কারণেই অতি দ্রুত দেশ করোনা মহামারির দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণ পায়।
পরিশেষে বলব: সারা জাতির অভিভাবক ও স্বপ্ন-আশার প্রতীক হিসেবে আমাদের মাঝে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি। জনগণের কাছে তিনি জননেত্রী, বিশ্বনেত্রী, দেশরতœ, ধরিত্রী-কন্যা, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, বঙ্গনেত্রী , মাদার অব হিউম্যানিটি বা মানবতার জননী ইত্যাদি নামে পরিচিত। এসব নাম বা উপাধি তাঁর বহুমুখি বৈশিষ্ট্য আর মেধা-প্রতিভারই স্মারক। বঙ্গবন্ধুর আজন্ম-লালিত অসাম্প্রদায়িক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কাজে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি সংকল্পে অটল। ইচ্ছাশক্তিতে দুর্নিবার। ভয়-দ্বিধাহীন এক দৃঢ়প্রত্যয়ী মানুষ। এতসব গুণের সমন্বয় তাঁকে কিন্তু অতিমানবে পরিণত করেনিÑ সত্যিকার মানবিক মানুষ হিসেবে তাঁকে পূর্ণতা দিয়েছে, গণমানুষের আরো কাছাকাছি এনেছে। ফলে সাধারণ মানুষের চোখের ভাষা আর মনের চাহিদা বোঝার সহজাত ক্ষমতা অর্জন করেছেন তিনি।
আমাদের সবার উচিত বঙ্গনেত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বোত সহায়তা-সমর্থন প্রদান করা; দেশের উন্নয়নে তাঁর প্রত্যয়ী অভিযাত্রায় শরিক হওয়া। বর্তমানে দেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তাতে কাক্সিক্ষত ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে খুব বেশি দেরি হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। তিনি সফল হোন! তিনি সফল হলে আমরা সফল হবো। সফল হবে দেশও। তিনি জয়ী হলে জয়ী হবে দেশের কোটি কোটি মানুষ। সাফল্যের স্বর্ণমুকুট পরে হাসবে গরিয়সী দেশÑ আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। – পিআইডি ফিচার