স্পট : ফিশারিঘাট
নিজস্ব প্রতিবেদক <<
সর্বাত্মক লকডাউনেও জমজমাট নতুন ফিশারিঘাট। রাস্তা থেকে শুরু করে বাজারের ভেতরে পর্যন্ত গাড়ি আর মানুষের ভিড়। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। শারীরিক দূরত্ব নেই বললেই চলে। মুখে মাস্ক পরতে অনীহা অধিকাংশের।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও নতুন ফিশারিঘাটে বিধিনিষেধ মানার ব্যাপারে সবাই উদাসীন। অবস্থা দেখে মনে হবে সেখানে ‘করোনা’ নেই।
পাথরঘাটা ইকবাল রোড থেকে ফিশারিঘাট স্থানান্তরিত হয়েছে কর্ণফুলী নদীর রাজাখালীর মুখে। প্রতিদিন ভোর ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মাছ বেচাকেনা চলে। প্রায় সব জেলা থেকে এখানে মাছ আসে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ সরবরাহ হয় এখান থেকে। সারা দেশ থেকে পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা এ বাজারে আসেন। ফলে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।
সরেজমিনে দেখা গেল, পাইকারদের পাশাপাশি জড়ো হন খুচরা মাছ ক্রেতারা। কেউ হেঁটে, মোটরসাইকেলে, রিকশায় মাছ কিনতে আসতে দেখা গেছে। বেলা বাড়তেই জড়ো হয় মাছ কুড়ানি, মাছ শ্রমিক ও বাজারের ব্যাগ বিক্রেতা। কথা হয় খুচরা মাছ ক্রেতা সোহেলের সঙ্গে। ‘করোনায় মাছ বাজারে কেমনে আসছেন, জানতে চাইলে সুপ্রভাতকে বলেন, ‘মইজ্জারটেক থেকে কিছু দূর হেঁটে, কিছু পথ রিকশায় এসেছি।’
একটি আড়তের সামনে দেখা যায় ইলিশের দাম হাঁকাতে। সেলিম নামে এক মাছ ব্যবসায়ী ইলিশের মণ প্রতি দাম হাঁকতে থাকেন। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে ১৫-২০ জনের মতো পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী। কারও মুখে মাস্ক নেই। শারীরিক দূরত্ব নেই।
মাছের আড়তদাররা করোনার ভয়ের ব্যাপারে নির্বিকার। আশরাফুল হক সজীব নামে এক কর্মচারী সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কথা হলে সে কৌতুকের সুরে বলে, ‘মাছ বাজারে করোনা নেই।’