নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
মাছে মাছে সয়লাব হয়ে গেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। শৈবাল পয়েন্ট থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত যতদূর চোখ যায় শুধু মাছ আর মাছ। তবে ঢেউয়ের তোড়ে বালিয়াড়িতে উঠে আসা এ মাছগুলো সবই মৃত ও ছোট প্রজাতির। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জোয়ারের সময় এসব মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়।
এই মৃত মাছ দেখতে ও কুড়াতে উৎসুক পর্যটকসহ স্থানীয়দের ভিড় নামে সৈকতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা।
স্থানীয়রা জানান, কলাতলী সৈকতের আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভেসে আসা ছোট আকৃতির এসব মাছ স্থানীয়দের কাছে ‘চামিলা’ হিসেবে পরিচিত। তবে এই মাছের সঠিক নাম ও বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। চামিলা মাছের পাশাপাশি পোপা, ফাইস্যাসহ নানা প্রজাতির মাছ রয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সাগরে মাছ ভেসে আসছে এমন খবর পেয়ে শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার উজ্জ্বল দাশ বলেন, আমি সাগরে গিয়ে দেখি সমুদ্র সৈকতে অস্বাভাবিকভাবে মাছ ভেসে এসেছে। সবাই ইচ্ছামতো ভরে নিয়ে যাচ্ছে এসব মাছ। কিছুদিন আগে ভেসে আসা জেলিফিশ এখনও পড়ে আছে সৈকত জুড়ে। এসব অস্বাভাবিক ঘটনা প্রকৃতির কোনো ছন্দপতন কিনা বা সাগরে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ঘটল কিনা এই নিয়ে চিন্তায় আছি। এখনই এসব নিয়ে গবেষকদের দারস্থ হওয়া উচিত আমাদের।
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক সেবায় নিয়োজিত বিচকর্মী মাহবুবুর রহমান জানান, ঢেউয়ের সঙ্গে হঠাৎ বিপুল পরিমাণ ছোট মরা মাছ ভেসে আসছে। ভেসে আসার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমাগম হয়। বিষয়টি আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের ওসি দেলোয়ার বলেন, মাছ কুড়াতে মানুষের ভিড় জমেছে। বালিয়াড়িতে গিয়ে দেখি নানান প্রজাতির মাছ ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে। তবে এই মাছগুলো কোথায় থেকে এসেছে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
মো. রফিক নামে এক জেলে বলেন, কবিতা চত্বরের কাছাকাছি পয়েন্টে একটি বিশাল আকৃতির জাল জেলেরা সাগর থেকে উঠাতে পারেনি। জোয়ারের পানিতে এ জালের মাছ সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। মাছগুলো জোয়ারের পানিতে তীরে ভেসে উঠে।