দীপন বিশ্বাস, কক্সবাজার
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে ২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসির তটরেখা। চাষিরা বলছেন, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় তারা মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পেলে চাষিদের স্বপ্ন পূরণ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি সপ্তাহ থেকে বাজারে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হোয়ানক, বড় মহেশখালী, শাপলাপুর, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে ১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয় মিষ্টি কুমড়া।
সুইটি, মনিকা, ব্যাংকক, ত্রিপল-৭ ও সোহাগীসহ নানা জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপণ করেছেন চাষিরা। উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের চাষি সুলতান আহমদ বলেন, ৩ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে সব মিলে খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা। এই বছর ৮ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া বীজ রোপণ করেছেন তিনি। ভালো ফলন হলে একেক বিঘা জমির উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হবে ২০-২৫ হাজার টাকা। কুমড়ার বীজ জমিতে রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যেই কুমড়া বিক্রি করা সম্ভব।
মহেশখালী উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় এবার ২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। মাঠপর্যায়েও চাষিদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। একেকটি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।’ কৃষি অফিসার আরও বলেন,‘ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকেরা। এবার বিক্রি করে টাকা হাতে পেলে মহা খুশী হবেন তারা।’